ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল জগতে সবাইকে সুরক্ষিত রাখতেই এই আইন করা হয়েছে।
শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়েছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে। যেন শিশু, যুবক কেউ বিপথে না যায় বা কোনো অসামাজিক কার্যকলাপ অথবা কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত হতে না পারে। দেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ যেন কেউ না করে সেজন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্তভাবে অপরিহার্য।
বিতর্কিত এই আইনে গ্রেপ্তার লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই আইনের সমালোচনা যারা করেছে, তারা করবেই। কারা সব থেকে বেশি সমালোচনা করছে? তারা কি বাস্তব কথাটা একবার উপলব্ধি করছে? তারা তো তা করছে না। আমার বয়স ৭৫ বছর। স্কুল জীবন থেকে রাস্তায় নামি। ৬২ সাল থেকে পথে পথে মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার চেনা আছে।
কারও মৃত্যু কাম্য নয় মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কারো মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটা অসেন্তোষ সৃষ্টি করাও কাম্য নয়।
জেলখানায় চার জাতীয় নেতার হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সে রকম ঘটনা তো আর ঘটেনি। কেউ অসুস্থ হলে মারা গেলে কী করার আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আইন তো আপন গতিতে চলে। আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে কি না, সেটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। কোনটা আপনার কাছে অপপ্রয়োগ, কোনটা অপপ্রয়োগ না, এটা একটা আপেক্ষিক ব্যাপার। কিন্তু আমি তো মনে করি আইন নিজের গতিতে চলছে এবং চলবে। যদি কেউ অপরাধ না করে তার বিচারে শাস্তি হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
নিউজ ডেস্ক