বাগেরহাট: মোংলা সমুদ্র বন্দরের পশুর চ্যানেলে বিপুল পরিমান কয়লা বোঝাই কার্গো ডুবির ঘটনা ঘটেছে। কার্গোতে থাকা নাবিকদের মধ্যে ১২ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পশুর চ্যানেলে এই কার্গো ডুবির ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় বন্দর চ্যানেলে নৌযান চলাচলে কোন ব্যাঘাত ঘটছে না বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দরে নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে ইস্টার্ণ প্রাইভেট লিমিটেডের আমদানি করা কয়লা এমভি বিবি-১১৪৮ নামে জাহাজটি পরিবহণ করছিল। ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ৮০০ টন কয়লা ছিল।
ডুবে যাওয়া কার্গোটির মাস্টার ওসমান বাংলানিউজকে জানান, শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে পশুর নদীর হারবাড়িয়া থেকে কয়লা বোঝাই করে মোংলার দিকে আসছিলাম। মোংলার বানিয়াশান্তা এলাকায় ইসমাইলের ছিলায় পৌঁছালে অন্য একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আমাদের কার্গোর তলা ফেটে যায়। পরে দ্রুত কার্গোটিকে আমরা নিরাপদে নেওয়ার চেষ্টা করি। এক পযায়ে একটি চরে উঠিয়ে দেই। তারপর জাহাজে থাকা সকলে সাতরে নিরাপদে উঠে আসি। জাহাজটি আস্তে আস্তে ডুবে যায়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ফখর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সকালে চ্যানেল থেকে আমাদের একটি জাহাজ যাওয়ার সময় বিবি-১১৪৮ নামের একটি কয়লা বোঝাই জাহাজকে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। পরে আমরা খোজ নিয়ে জানতে পারি রাত ১১টার দিকে কয়লা বোঝাই জাহাজটি তলা ফেটে জাহাজের মাস্টার দ্রুত চরের দিকে উঠিয়ে দেয়। ভোর নাগাদ জাহাজটি ডুবে যায়।
তিনি আরও বলেন, মোংলা বন্দর থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে এসমাইলের ছিলা নামক এলাকায় পশুর নদীতে এই জাহাজটি অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে জাহাজটি থাকার কারণে চ্যানেলে নৌযান চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটছে না। জাহাজে থাকা সকল নাবিক নিরাপদ ও সুস্থ্য রয়েছেন। আমরা জাহাজ মালিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। জাহাজটি দ্রুত চ্যানেল থেকে সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
তবে জাহাজে কি পরিমাণ কয়লা ছিলো তা জানাতে পারেননি হারবার মাস্টার ফখর উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
কেএআর