ঢাকা: চতুর্থ নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভে অংশগ্রহণকারীদের সংবর্ধনা দিয়েছে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস কাঠমান্ডু চতুর্থ নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভ আয়োজনে সহায়তা করে।
২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত কনক্লেভে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত প্রায় ২০ জন এবং নেপালের সাতটি প্রদেশের প্রায় ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী অংশ নেন।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কাঠমান্ডুর দূতাবাস থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস প্রাঙ্গনে চতুর্থ নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভে অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অংশগ্রহণকারীদের বাংলাদেশ দূতাবাসের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং দূতাবাস কর্তৃক প্রদত্ত সেবাসমূহের বিষয়ে অবহিত করা হয়।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে তরুণদের অবহিত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন দুই দেশের তরুণ প্রজন্মের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমেই বন্ধন সুদৃঢ় হতে পারে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নেপালের লামজুং জেলাস্থ মারস্যিয়াংদি গ্রামীণ পৌরসভার সহ-সভাপতি এবং নেপাল জাতীয় যুব পরিষদের একজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত চতুর্থ নেপাল-বাংলাদেশ ইয়ুথ কনক্লেভে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেপালের ভূমি ব্যবস্থাপনা, সমবায় এবং দারিদ্র্য বিমোচন বিষয়ক মন্ত্রী ড. শিবা মায়া তুম্বাহামফে প্রধান অতিথি এবং নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নেপালের বিভিন্ন শিক্ষা-গবেষণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ নেপালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
মন্ত্রী ড. শিবা মায়া তুম্বাহামফে তার বক্তব্যে নেপাল-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদারকরণে এ ধরনের যুব সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের সম্মেলনের মাধ্যমে লব্ধ অভিজ্ঞতা তরুণেরা তাদের দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবে।
রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন বাংলাদেশ এবং নেপাল উভয় দেশেরই জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ। তিনি এ বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী যেন তাদের ভেতরের সম্ভাবনা সমূহ সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের টেকসই উন্নয়নে কার্যকরীভাবে অংশ নিতে পারে সেজন্য তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দুই দেশের লোকসঙ্গীতের সমন্বয়ে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। দুই দিনব্যাপী কনক্লেভে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়নের যুব সম্পর্কিত লক্ষ্যসমূহ, জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
টিআর/এমজেএফ