ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, গ্রেফতারকৃত আট নেতাকর্মীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র জোট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ের ৩ নম্বর গেটের সামনে পুলিশ এ বাধা দেয়।
দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে সমাবেশ শেষ হলে যান চলাচল আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে সংগঠনটির কর্মীরা দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেত হয়ে মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে আসতে শুরু করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত বৃহস্পতিবার কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যু হয়েছে। আপনারা দেখবেন কারাগারে লেখা থাকে রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ। আপনারা কী আলোর পথ দেখালেন মুশতাককে? একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করল, অথচ সে জানে না যে সে অপরাধী না নিরাপরাধ। ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশ প্রশাসনসহ অন্যদের কর্মকাণ্ডে সেটি আরও স্পষ্ট করে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আমাদের একটি শান্তিপূর্ণ মশাল মিছিল ছিল। সেই মশাল মিছিলে পুলিশ কীভাবে হামলা করেছে। আবার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে বলে আমাদের ছেলেরা না কী তাদের আহত করেছে। পুলিশের কথা মানুষ বিশ্বাস করে না এটা আমরা জানি। এ মাস থেকে সরকার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে। তারা যে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে সেটা আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তী, লুটপাটের সুবর্ণজয়ন্তী। ১৯৭১ সালের পর থেকে এ দলটি দেশের মানুষকে নানাভাবে অপমাণিত করেছে। আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদের দিয়ে তারা ব্যালট চুরি করিয়েছে।
তারা বলেন, লেখক মুশতাকের মৃত্যুর বিচার করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে আইনটি বাতিল করতে হবে। সর্বশেষ সাতজন ছাত্র নেতা ও একজন শ্রমিক নেতাকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ আটজন রাজবন্দিকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। না হলে এ ঘেরাও মিছিল প্রতিবাদ মিছিলে রূপান্তরিত হবে।
বক্তারা বলেন, আমরা আজ সমাবেশ সমাপ্ত ঘোষণা করছি। তবে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী কর্মসূচি কী হবে তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে এসেছিল। এজন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে কোনো ব্যারিকেড ছিল না। তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
এমএমআই/আরবি