খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম মৈত্রী সেতু-১ এর কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
২০১৫ সালের ৬ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১২৮ কোটি ৬৯ লাখ ভারতীয় মুদ্রায় নির্মিত মৈত্রী সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪১২ মিটার। শুধু খাগড়াছড়ি জেলা নয়, জেলার বাইরে থেকেও প্রতিদিন অনেক মানুষ দেখতে আসেন এ সেতু। বেড়াতে আসা পর্যটকদের দাবি, সেতু ও স্থল বন্দর চালু হলে যেন দু’দেশের মানুষের জন্য এখানে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়।
রামগড়বাসীদের প্রত্যাশা সেতু ও স্থল বন্দরটি চালু হলে রামগড় তথা খাগড়াছড়ি জেলার আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। দেশের বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হবে। এ সেতু ও স্থল বন্দর চালু হলে খাগড়াছড়ি জেলার পুরাতন মহকুমা শহর রামগড় ফিরে পাবে পুরানো ঐতিহ্য।
খাগড়াছড়ির ব্যবসায়ী সুমন মল্লিক ও ঠিকাদার অনন্ত ত্রিপুরা বলেন, সেতুটি দেখতে রামগড়ে এসেছি। এতদিন দু’টি সীমান্তে দূরত্ব থাকলেও এখন সেতুটি দু’দেশের যোগাযোগ এক করেছে। দু’দেশের সম্প্রীতির বন্ধন আরও গভীর হবে।
অপর দর্শনার্থী ফারুক আহম্মেদ ও আশরাফ আলী বলেন, রামগড় পার্বত্য অঞ্চলের মহকুমা শহর। রামগড়ের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তবে সময়ের পরিক্রমায় উপজেলাটি জৌলুস হারাতে বলেছিল। মৈত্রী সেতু রামগড়ের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। সেতুটি শুধু দু’দেশের সম্পর্ক স্থাপন করেনি বরং এটি এখন এ জেলার একটি বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংরুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, ভারত সরকার মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা করেছিল এ সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তা মনে রাখবে। এটি দু’দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ আত্মসামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয়দের দাবি, সেতুটি ঘিরে দু’দিকে যেন দর্শনার্থীদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
এডি/আরবি