ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোংলায় কয়লাবাহী জাহাজ ডুবি: শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২১
মোংলায় কয়লাবাহী জাহাজ ডুবি: শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটে মোংলা বন্দর পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই এমভি বিবি-১১৪৮ নামের কার্গো জাহাজের উদ্ধার কাজ গত দুদিনেও শুরু হয়নি। কয়লা বোঝাই এই জাহাজ বেশি দিন পানির নিচে থাকলে মারাত্মক দূষণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বরিশাল থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রওনা দিয়েছে মঙ্গলবার দুপুর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হবে।  

এদিকে রোববার সারাদিন জাহাজটির কিছু অংশ পানির উপরে থাকলেও সোমবার পূর্ণ জোয়ারে জাহাজটি সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে যায়। চ্যানেলে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজের স্থানটিতে বয়া মার্কিং করে দিয়েছে। এখন পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে পশুর চ্যানেলে।

এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহ্বায়ক নুর আলম শেখ বলেন, বিষাক্ত পদার্থ কয়লা পশুর নদীতে ছড়িয়ে পড়লে নদীর মাছের মারাত্মক ক্ষতি হবে। এর আগেও পশুর নদীতে কয়লা, তেল ও সারবাহী জাহাজ ডুবেছে। নানা কারণে প্রতিবারই উদ্ধার কাজ শুরু করতে দেরি হয়। এ ক্ষেত্রে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

কয়লা থেকে দূষণের শঙ্কার বিষয়ে বাগেরহাট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আরেফিন বাদল বলেন, কয়লার মধ্যে আর্সেনিক, সালফারসহ বিভিন্ন রাসয়নিক পদার্থ রয়েছে। দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকলে এই কয়লা পানির সঙ্গে মিশে পানিকে দূষিত করতে পারে। পানি দূষিত হলে পশুর নদীর মাছসহ নানা প্রকার জলজ প্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে যতদ্রুত সম্ভব কয়লা অপসারণ করা প্রয়োজন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ফখর উদ্দিন বলেন, জাহাজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান মোংলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আশাকরি মঙ্গলবার নাগাদ কয়লা অপসারণ করে উদ্ধার কাজ শুরু করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, পূর্ণ জোয়ারে জাহাজটি যেহেতু পানির নিচে ডুবে যাচ্ছে। সেই কারণে আমরা ওই এলাকায় বয়া মার্কিং করে দিয়েছি। মাইকিং করেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পূর্ণ জোয়ারেও নৌযান চালনাকারীরা নির্বিঘ্নে এই চ্যানেল দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে দাবি করেন তিনি।

পানির সঙ্গে কয়লা মিশে দূষণের বিষয়ে হারবার মাস্টার ফখর উদ্দিন বলেন, জাহাজে থাকা কয়লাগুলো আফ্রিকা থেকে এসেছে। এগুলো খনিজ কয়লা। খুব সহজে এই কয়লা গলে পানির সঙ্গে মিশবে না।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পশুর চ্যানেলের বানিয়াশান্তা এলাকায় ইসমাইলের ছিলায় ৮৪৮ টন কয়লা নিয়ে এমভি বিবি-১১৪৮ কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় নোঙর করা মাদার ভ্যাসেল থেকে ইস্টার্ণ প্রাইভেট লিমিটেডের আমদানি করা কয়লা নিয়ে জাহাজটি যশোর জেলার নওয়াপাড়া নৌবন্দরে যাচ্ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা,  মার্চ ০১, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।