ঢাকা: অপহরণকারী চক্রটি ধনী পরিবারের শিশুদের টার্গেট করে অপহরণ করতো বলে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ৬ বছরের শিশু মো. আলী হোসেনকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১, পাইকপাড়া, র্যাব-৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
আটকরা হলেন- মো. জাকির হোসেন (২১) ও শান্ত মিয়া (২৯)।
মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে শিশু মো. আলী হোসেন অপহরণ হয় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে। পরে অপহৃত শিশুটিকে রাজধানীর বাইপাইল ও সায়েদাবাদ হয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী চক্র মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবা-মার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণকারীরা টাকা দেয়ার জন্য দুই দিন সময় দেয়। অন্যথায় শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছিল।
তিনি বলেন, আসামিরা ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ও স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় প্যাকিং ম্যান হিসেবে কাজ করতো। চক্রটির মূলহোতা পলাতক আসামি মো. সোহান আটক আসামিদের সঙ্গে মুক্তিপণের টাকা ভাগাভাগির চুক্তি করে শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন। অপহরণের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পলাতক সোহান ভিকটিম শিশুটিকে চিপস ও খেলনা কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেন। এরপর আসামিরা মিলিত হয়ে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ও পরে বাসে করে চট্টগ্রামে আসামি জাকিরের চাচার বাসায় নিয়ে শিশুটিকে আটকে রাখে। একপর্যায়ে চক্রের মূলহোতা পলাতক সোহান ভিকটিমের বাবার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে। ভবিষ্যতে শিশু অপহরণকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১
এমএমআই/এমকেআর