হবিগঞ্জ: শুরুর দিকে হবিগঞ্জ জেলায় প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও গত কয়েকদিন ধরে এর সংখ্যা নেমে এসেছে শ’য়ের কোটায়। এমন চলতে থাকলে মার্চ মাসের মধ্যে মজুদ থাকা টিকা শেষ হবে না।
পরীক্ষার তুলনায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর হার কমে যাওয়াকে ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহ কমতির কারণ বলে মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে ৯টি উপজেলায়ই মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে কাজ চলছে বলে তারা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন ৩ হাজার ৪৫৮ জন মানুষ। এর পরের সপ্তাহের ২৪ ফেব্রুয়ারি গ্রহীতার সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৩৫ জনে। এরপর প্রতিদিনই কমে গিয়ে সর্বশেষ সোমবার (০১ মার্চ) ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেন মাত্র ৫০৩ জন।
হবিগঞ্জে করোনা ভাইরাসের টিকা মজুদ ছিল ৭২ হাজার ডোজ। এ থেকে ২৩ দিনে জেলায় প্রয়োগ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৯ জনের শরীরে। এখনও মজুদ আছে ৩৬ হাজার ১১ ডোজ। মার্চের মধ্যে এগুলো শেষ না হলে এপ্রিলে হবিগঞ্জের পার্শ্ববর্তী চাহিদাসম্পন্ন অন্য কোন জেলায় স্থানান্তর করা হবে।
শুরুর দিকে আগ্রহ থাকায় ২৩ দিনে টিকা নিয়েছেন ৩৫ হাজার ৯৮৯ জন। কিন্তু চলতি মাসে প্রয়োগের সংখ্যা কমেছে কয়েক গুণ। এভাবে চলতে থাকলে মার্চ মাসের মধ্যে বাকি টিকাগুলো শেষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হবিগঞ্জের তুলনায় মৌলভীবাজার জেলার মানুষের টিকা গ্রহণে আগ্রহ বেশি। সেখানেও চাহিদাও বেশি। মার্চের মধ্যে হবিগঞ্জের টিকা শেষ না হলে মৌলভীবাজারে স্থানান্তর করা হবে। আর এমন হলে বহু প্রত্যাশিত করোনা ভাইরাসের টিকা থেকে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবেন।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, মানুষের মাঝে যেন ভ্যাকসিন গ্রহণে অনীহা না থাকে সেজন্য শুরুর দিকে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গ্রহণ করেছেন। তখন আগ্রহ বেড়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মানুষের মাঝে উল্লেখযোগ্য হারে আগ্রহ কমে যাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীর হার কমে যাওয়া এর একটি কারণ। মানুষের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং সবাইকে যার যার জায়গা থেকে মানুষকে উদ্বুব্ধ করতে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১
এমকেআর