ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২১
বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাংলাদেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার মতো দেশের সমপর্যায়ে গিয়েছে। আমরা দরিদ্রতম দেশের মানুষ ছিলাম, আমাদের মিসকিন বলা হতো। এখন আর আমাদের মিসকিন বলবে না।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলের সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুজিব কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, এটি শুধু একটি নাম না, একটি দর্শন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ও ‘মুজিব কর্নার’ স্থাপন করেছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। এটা জাতির পিতার প্রতি আমাদের সম্মান। শুধুমাত্র একটি ম্যুরাল আর একটি মুজিব কর্নার করে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। এখানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ভালো ভালো বইগুলো রাখতে হবে। যাতে মানুষ সময় পেলে এখানে এসে ১০ থেকে ১৫ মিনিট বসে কিছু পড়তে পারে। বিদেশে এধরনের সিস্টেম চালু আছে।

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করার ঘটনা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা অভিশাপমুক্ত হলাম। আমরা দরিদ্রতম দেশের মানুষ ছিলাম, আমাদের মিসকিন বলা হতো। এখন আর আমাদের মিসকিন বলবে না। আজকে আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে একই কাতারে আছি, এটা আমাদের গর্ব। বঙ্গবন্ধু আমাদের সব ভালো কাজের অনুপ্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো নীতির সঙ্গে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন এদেশের মানুষের ভৌগলিক স্বাধীনতা, রাজনৈতিক মুক্তি একটি ভূখণ্ড। একটি মানচিত্র দিয়ে গেছেন তিনি। বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তারই দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসমাপ্ত কাজগুলো করছেন।

এর আগে সোনলী ব্যাংকের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষ চালু করা হয়েছে মুজিব কর্নার হিসেবে। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংক সৃষ্টির অধ্যাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাক্ষরের আলোকচিত্র, তাকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন বই, বিভিন্ন ঐতিহাসিক আলোকচিত্র ও ম্যুরাল দিয়ে সাজানো হয়েছে এ সংগ্রহশালা ও প্রদর্শনীকেন্দ্র।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিইও এ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আতাউর রহমান প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী, পরিচালনা পর্ষদের পরিচালকরা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলেরা এমডি এবং সিইওরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।