ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে মোহাম্মদপুরে সাজেদা আক্তার সাজু (২২) ও মানিকদি এলাকায় শরিফুজ্জামান শিপন (২৬) নামে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সাজেদাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সাজেদার মা নুরজাহান বেগম বলেন, আমাদের বাড়ি ভোলা লালমোহন উপজেলার দেবিচর গ্রামে। সাজেদার বাবার নাম মোস্তফা। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সাজেদা সবার বড়। সাজেদা ভালোবেসে গত ছয়মাস আগে জসিম নামে একজনকে বিয়ে করেন। জসিম একজন আদম ব্যবসায়ী। আর সাজেদা গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তবে বিয়ের কিছুদিন পরই জসিম বিভিন্ন কারণে সাজেদাকে নির্যাতন করতো। এজন্য সাজেদা চাকরি ছেড়ে দেয়। গত এক মাস ধরে সাজেদা তার মায়ের বাসাতেই থাকতেন। তবুও ফোনে ঝগড়া করতেন জসিম।
তিনি আরও বলেন, সকাল ১১টার দিকে আমি বাসার বাইরে থেকে এসে দেখি বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। সাজেদাকে ডাকাডাকি করে কোনো সারা না পাওয়ায় বাসার মালিকের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাজধানীর মানিকদির ৪২৬ নম্বার বাসার দোতলা থেকে দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিপনের মরদেহ উদ্ধার করে ক্যান্টনমেন্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ আমানউল্লাহ।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শিপন।
শিপনের মামা মাহফুজ আহমেদ বলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের জিয়াউল হকের ছেলে শিপন। তিতুমীর কলেজে বোটানি বিভাগের অনার্সের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, গত আট থেকে নয় মাস ধরে এক মেয়ের সঙ্গে শিপনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে শিপন ওই মেয়েকে বিয়ে করবে বলে বাবা মাকে জানান। এতে তার বাবা-মা রাজি হয়নি। এজন্য গত দুই থেকে তিন দিন ধরে শিপন মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। সব সময় মন খারাপ করে থাকতো। সর্বশেষ মঙ্গলবার দিনগত রাতে শিপন রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। অনেক ডাকাডাকি করেও তার কোনো সাড়া না পেয়ে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর পুলিশ শিপনের রুমের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
আরআইএস