ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ পুনরায় স্থগিত ও মওকুফের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার (৩ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। কিন্তু এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শামীম ইস্কান্দারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মাস কারাভোগের পর শর্ত সাপেক্ষে গত বছর ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা আবার সময়টা (সাজা স্থগিত) বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। আমরা এখন সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। এটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো, আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত আসলে আমাদের যথাযোগ্যদের সঙ্গে আলাপ করে করে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হলেন মানবতার জননী। তিনি যখনই কাউকে দেখেন এরকম অবস্থায় তখন তো তিনি সবসময় তার সহযোগিতা করে থাকেন। এক্ষেত্রেও খালেদা জিয়া যাতে বাসায় বসে উন্নত চিকিৎসা পায় এবং অন্যান্য অসুবিধাগুলোর চিকিৎসা সুন্দরভাবে পায়, সেজন্যই তিনি শর্তসাপেক্ষে তার বাসায় থাকার অনুমতির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
চিঠিতে বিদেশে যাওয়ার আবেদন করেছেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা সব সময় তার চিঠিতে লেখা থাকে। রেফারেন্সে থাকে বিদেশে যাওয়ার, সেরকম লেখা থাকে কিন্তু উনিতো এখনো কারাগারেই আছেন। তার বাড়িটা এখন কারাগার হিসেবেই তিনি এখানে আছেন।
সাজা মওকুফের সুযোগ আইনগতভাবে আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় যতখানি সম্ভব সেটুকু ব্যবস্থা উনি করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
জিসিজি/এইচএডি/