ঢাকা: নারী সহকারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেতন কমানো এবং পদোন্নতির সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
বিভাগীয় তদন্তে আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে শাস্তি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮-এর বিধি ৪(৩)(ক) মোতাবেক গুরুদণ্ড হিসাবে তিন বছরের জন্য নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ করা হলো।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার বেতন অবনমন করা হয়েছে এবং তিনি চাকরি জীবনে আর পদোন্নতি পাবেন না।
উপসচিব হিসেবে জেলা প্রশাসক থাকাকালে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ওই বছরের ২৫ আগস্ট আহমেদ কবীরকে জনপ্রশাসনে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।
পদোন্নতির সুযোগ বন্ধ হওয়ায় আহমেদ কবীরকে বর্তমান পদ (উপসচিব) থেকেই অবসরে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন।
আহমেদ কবীর উপসচিব হিসাবে বর্তমানে ৫ম গ্রেডে বেতন পান। শাস্তির কারণে এখন থেকে তিনি ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী ৬ষ্ঠ গ্রেডের সর্বনিম্ন ধাপের বেতন পাবেন। পঞ্চম গ্রেডে তার মূল বেতন প্রায় ৭০ হাজার টাকা। এখন তিনি মূল বেতন পাবেন ৩৫ হাজার টাকা। সঙ্গে অন্যান্য ভাতা ও সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪,২০২১
এমআইএইচ/এমআরএ