ঢাকা: বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী বা অন্যন্য কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আয় কমে যাওয়ায় পেশা বদলে নাম লেখান মলমপার্টি-ছিনতাইয়ে।
বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর উত্তরা-আবদুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাই ও মলমপার্টির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতাররা হলেন- মূলহোতা স্বপন (৫২), ফিরোজ (৪০), মাসুদ রানা (৫১), শহীদুল ইসলাম (৫১), জাকির হোসেন জাকির (৫৫), শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদুল (৩৩) ও হাবিবুর রহমান সিরাজ ওরফে সিরাজ মুন্সী (৫০)।
এ সময়ে তাদের কাছ থেকে চারটি প্লাস্টিকের ছোট কৌটা ভর্তি মলম, ছোট একটি প্লাস্টিকের কৌটায় টাইগার বাম জাতীয় মলম, একটি স্টিলের ছোট কাঁচি, ১০ টি ঘুমের ওষুধ জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা আগে অন্যান্য পেশায় যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আয়-রোজগার কম হওয়ায় ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দ্রুত বেশি টাকা আয় করার জন্য যুক্ত হয় মলমপার্টিতে। মলমপার্টির এ সক্রিয় সদস্যরা একত্রিত হয়ে কৌশলে সহজ-সরল যাত্রীদের টার্গেট করে চেতনানাশক ওষুধ ও মলম প্রয়োগ করে টাকা ও মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নেয়।
সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি কোথাও অভিযান চালানোর আগে তারা রেকি করে নেয়। এছাড়া তারা যে বাসে অপারেশন করে সেই বাসের কন্ট্রাক্টরও অনেক সময় বিষয়টি অবগত থাকেন। তাকেও এ টাকার ভাগ দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, মলমপার্টির সংখ্যা কত এমন পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমার কাছে নেই। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবো।
এ চক্রের আটজন সদস্য ছিলো। তাদের মধ্যে একজন পালিয়ে গেছেন বলেও জানান সিআইডির এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
পিএম/ওএইচ/