ঢাকা: দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি সংগ্রহ করে রং ও ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট পাল্টে বিক্রি করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসা চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গত বুধবার (৩ মার্চ) রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী ধোলাইপাড় শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- চালক শাহ আলম (৪২) ও টেকনিশিয়ান মো. জামাল (৩৫)।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শাহ আলমের গ্যারেজে চোরাই সিএনজি বিক্রি হয়। সেখানে চোরাই সিএনজি আনার পরে তা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে আটক করা হয়। তবে গ্যারেজের মালিক শাহ আলম এখনো পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চক্রটি পরস্পরের যোগসাজসে চোরাই সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভুয়া রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্লেট ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করে আসছিলেন জানিয়ে শেখ ওমর ফারুক বলেন, এ গ্যারেজ থেকে আমরা পাঁচটি সিএনজি জব্দ করেছি। সিএনজিগুলো কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকা থেকে চক্রটি সংগ্রহ করা হয়। এ এলাকা থেকে চোরাই সিএনজি প্রথমে ঢাকার কাঁচপুরে আসে। কাঁচপুর থেকে সিএনজি চালিয়ে নিয়ে আসা হয় শাহ আলমের গ্যারেজে। গ্যারেজে আনার পরে লাগানো হয় ভুয়া নম্বর প্লেট। পরে রং করে ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়।
শাহ আলম গত দুই মাসে ১৫ থেকে ২০ চোরাই সিএনজি এনে বিক্রি করেছেন। এ চোরাই সিএনজিতে যে নম্বর প্লেট আছে তা বিআরটিএর নম্বর প্লেট না। তাছাড়া এসব সিএনজির কাগজ সব ভুয়া।
ভুয়া নম্বর প্লেটের সিএনজি দিয়ে ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করা হয়। তারা কীভাবে এ ভুয়া ডিজিটাল নম্বর প্লেট তৈরি করেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
পিএম/আরবি