বাগেরহাট: প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জমিসহ পাকা ঘর পেলেন বাগেরহাট সড়কের পাশে ঝুপড়ি ঘরে থাকা বৃদ্ধ দম্পতি রতন বিশ্বাস (৮০) ও মনিরা বেগম (৬৫)।
বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট ট্রাফিক মোড়-দাসপাড়া সড়কের মেগনিতলাস্থ এলাকার ঝুপড়ি ঘর থেকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির ব্যবহৃত গাড়িতে করে রনসেন গুচ্ছ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
এসময়, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সহকারী সচিব এইচএম শাহিন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীন, সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মাদ শহিদুল্লাহ, ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান বাচ্চুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃদ্ধ রতন কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু স্বীকৃতি পাইনি। আবেদন করেছি মন্ত্রণালয়ে কি হবে জানি না। বাবার যতো সম্পদ ছিল মানুষে জোর করে জাল দলিল করে দখল করে নিয়েছে। এখন আমার দখলে কোনো জমি নেই। ১০ বছরের বেশি সময় মেগনিতলা রাস্তার পাশে একটি ঝুপড়ির মধ্যে থাকতাম। বিভিন্ন সময় অনেকেই অনেক কিছু দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু কিছুই পাইনি। আজকে প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় একটি পাকা ঘর পেয়েছি।
বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ যাদের চেষ্টায় আমাদের এই ঘর প্রদান করা হল তাদের ধন্যবাদ জানাই। মরার আগ পর্যন্ত পাকা ঘরে থাকতে পারব এই ভেবেই খুব আনন্দ লাগছে মনে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে মারতে চাই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধ।
রতন কুমারের সহধর্মিনী অসুস্থ মনিরা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, পৃথিবীতে কেউ নেই আমার। ১৫ বছর আগে তার (রতন কুমার বিশ্বাস) সঙ্গে এক সাথে থাকা শুরু করি। কিছুদিন বেড়িবাঁধে থেকেছি। পরে ১০ বছর ধরে খেয়ে না খেয়ে মেগনিতলার ঝুপড়িতে আছি। আজ পাকা ঘর পেলাম। জীবনে পাকা ঘরে থাকব তা কখনও ভাবতে পারিনি। আমরা খুব খুশি হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এনটি