বরগুনা: জাতীয় পতাকার মর্যাদা সমুন্নত না রাখার অভিযোগে বরগুনা জেলার তিন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে গত সোমবার (১ মার্চ) দুপুরে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়েরের জন্য আবেদন করেন আইনজীবী জেড এইচ এম মুজাহিদুল হক। পরে ওইদিন শুনানি শেষে আদেশের জন্য অপেক্ষমান রাখেন আদালতে বিচারক মো. হানিদ হোসেন।
জাতীয় পতাকা আইন ১৯৭২ এর তিন নম্বর ধারা এবং ২০১০ সালের ২০ নম্বর আইনে দায়ের করা এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বরগুনার জেলা রেজিস্ট্রার, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী, বরগুনার কুয়েত প্রবাসী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টির সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক এবং বরগুনার গৌরীচন্নার কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা এবং আইন লঙ্ঘন করে অভিযুক্তদের কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর ফলে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধের অসম্মানিত করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী আইনজীবী জেড এইচ এম মুজাহিদুল হক বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা আমাকে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। তাই আমি মামলা দায়ের করেছি এবং মামলাটি গ্রহণ করে আদালত বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
জাতীয় পতাকা আইন ১৯৭২ এর তিন নম্বর ধারা এবং ২০১০ সালের ২০ নম্বর আইনে অনুযায়ী যদি কোনো ব্যক্তি জাতীয় পতাকার আকার আকৃতি ও রং বিকৃত করে তাহলে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা এক বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২১
এএটি