খুলনা: ভরা ফাল্গুনে খুলনার বাজারে দেখা মিলছে আগাম জাতের তরমুজের। ভ্যাপসা গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ও প্রশান্তি দিতে এ ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে ক্রেতাদের কাছে।
খুলনা বিভাগের প্রধান ফলের পাইকারি বাজার কদমতলায় গেলে মূল সিজনের মতো তরমুজের দেখা মিলবে। কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খুলনার বাজারে এ আগাম জাতের তরমুজ আসছে।
ফল ব্যবসায়ীরা জানান, গরমকালের তরমুজ এখনো বাজারে আসেনি। সেগুলো মিলবে আরও দেড়/দুই মাস পর। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। বাজারে আগাম তরমুজ উঠেছে মোকামের সঙ্গে সামাঞ্জস্য রেখে অল্প লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে গ্রীষ্মকালে এলে এর দাম আরও কমবে।
জানা গেছে, বাজারে যেসব আগাম জাতের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে উল্লেযোগ্য হলো- বিগ ফেমেলি ও রোয়েল ফেমেলি, বালি, ব্লাক সুইট, কালা, কালো ব্লাকবেবি, বাংলালিংক, গ্রামীণ, ব্লাক লায়ন, আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২।
শুক্রবার (৫ মার্চ) ইসলামপুর রোডের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা রুহুল আমিন জানান, আগাম জাতের এসব তরমুজ কোনটাই খুলনায় চাষ হয়নি। এগুলো কুয়াটাকাসহ বেশ কিছু এলাকা থেকে আনা হয়েছে। বাজারে এগুলোর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি তরমুজ ৪০ টাকা, পেয়ারা ৬০ টাকা, সিলেটি আনারস জোড়া ৮০ টাকা, ডাব কুল ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ তরমুজ বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, প্রতি কেজি তরমুজ প্রথম দিকে ৬০ টাকা করে বিক্রি করেছি। এখন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করছি। দাম এখন একটু বেশি হলেও সিজনের তরমুজ বাজারে আসলে কমে যাবে।
কৃষ্ণ পোদ্দার নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারে প্রথম তরমুজ উঠেছে যা দেখে ভালো লেগেছে। ভালো-মন্দ কি হবে জানি না। তবু কিনলাম। যদিও দাম একটু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২১
এমআরএম/কেএআর