কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় লাইনচ্যুত মালবাহী টেন উদ্ধারের কাজ করার সময় শহিদুল ইসলাম নামে এক রেল কর্মচারীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহেদ খাঁন রনির বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (০৫ মার্চ) দিবাগত রাতে কুষ্টিয়ার মিলপাড়ায় লাইনচ্যুত মালবাহী টেনের উদ্ধার কাজের সময় এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহেদ খাঁন রনি কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক।
শহিদুল ইসলামের ছেলে মাসুদ রানা বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে মালবাহী ট্রেনটি উদ্ধারের কাজ করার সময় শত্রুতার জেরে আওয়ামী লীগ নেতা রনি, তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন, রাজা, সোহেল রানা, নুর আলম, রুস্তম, সুজন কানা, লিটন ও রিপনসহ ৮-১০জন মিলে আমার বাবা রেলওয়ের কর্মচারী শহিদুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। তিনি বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, রেল কর্মচারীর উপরে হামলার ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
শুক্রবার (০৫ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টায় কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী ট্রেন রুটের কুষ্টিয়া মিলপাড়া এলাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশে যাওয়ার পথে গমভর্তি মালবাহী ট্রেনটি মোট ২২টি বগি নিয়ে যাওয়ার সময় রেলওয়ে ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও মালবাহী ট্রেনের মাঝের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর পর থেকে ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ইতোমধ্যে লাইনচ্যুত হওয়া পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি লাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া বাকি দুটি বগি সরানোর কাজ চলছে। সন্ধ্যার পরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
আরএ