ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবর দিতে বললেন জাফরুল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে কবর দিতে বললেন জাফরুল্লাহ বক্তব্য রাখছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ছবি: শাকিল

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কবর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।  

শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও কারা হেফাজতে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এ আহ্বান জানান।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।  

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “বর্তমানে এক লাখের বেশি ব্যক্তি জেলে আছে, ব্রিটিশ আমলেও এত মানুষ জেলে ছিল না, পাকিস্তান আমলেও না। ঢাকার কাশিমপুর বলেন আর কেরানীগঞ্জ বলেন সেখানকার হাসপাতালে একটা ইসিজি মেশিন নেই, ভেন্টিলিটার নেই। আপনার বাবা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ও কারাগারের এ হাসপাতালগুলোর দুরবস্থার কথা বলে গেছেন। আপনি তো আসলে আমাদের ছোট করছেন না, আপনার বাবাকে ছোট করছেন। আমাদের নেতাকে ছোট করছেন। এ মহানুভব ব্যক্তি তাকে কী জবাব দেবেন? আপনাকে আমি বলছি, আপনি এ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অবশ্যই কবর দিয়ে দেন। এ যে সরকারি অর্থ লুট হয়েছে, একটা মামলা এ পর্যন্ত করেননি। দেশে অনেক আইন আছে, এ আইনের সংশোধন করে কোনো লাভ নেই। এ আইনের সংশোধন প্রতারণা হবে, আর কতদিন প্রতারণা করে চলবেন। ” 

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনার উজবুক মন্ত্রীদের কথা না শুনে এ আইনটি বাতিল করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন চাটুকাররা কোথায় ছিল? অজানা ঘটনা ঘটলে আপনার ড. হাছান মাহমুদ বলেন আর আনিসুল হক বলেন এদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। ”                                                                  

প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই, শেষ মুহূর্তে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে তিনি সাহস করে করোনার টিকা নিয়েছেন। যে টিকা এতদিন নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলাম সেটা তিনি এতদিন নেননি। ”

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “যে তথ্যগুলো তিনি প্রকাশ করেননি সেটা হলো এ টিকা কোন টিকা। এটা কী অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, নাকি ভারতীয় উৎপাদিত কোনো টিকা। নাকি জনগণ যে টিকা পেয়েছে, সে টিকা। সে সঙ্গে আমি তাকে শোকবার্তায় জানাচ্ছি, দিনের ভোট রাতে নেওয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের যিনি মাস্টারমাইন্ড, এইচ টি ইমাম সাহেব, দু’দিন আগে ইন্তেকাল করেছেন। যার মৃত্যুতে যত না ক্ষতি হয়েছে রাষ্ট্রের জনগণের, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আপনার। আমলাদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ এত বড় ঘটনা পৃথিবীতে খুব বেশি নেই। অবশ্য এজন্য আপনি আমলাদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। তবে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এইচ টি ইমাম একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ ছিল। ” 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, “একটা কার্টুনিস্ট কার্টুন একে ব্যঙ্গ করে দেশের কী ক্ষতি করতে পারে তাকে দশ মাস জামিন দেননি। লেখক মুশতাক আহমেদের কথা আপনারা বলছেন তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু কাউকে যদি আপনারা চিকিৎসা না দেন তাহলে সেটাকে কী স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাবে?” 

এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
এমএমআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।