পটুয়াখালী: পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের লেবুখালী ফেরি ঘাটের দক্ষিণ পাড়ে ইউনিভার্সিটি স্কয়ারের প্লেনটি অযত্নে-অবহেলায় ভেঙে ফেলায় সব মহলে নিন্দার ঝড় বইছে।
শনিবার (০৬ মার্চ) দুপুরে পায়রা সেতু অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য প্লেনটি ভেঙে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে প্লেনটি ভেঙে ফেলায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহল নিন্দা জানিয়েছে। অনেকেই বলছেন, পটুয়াখালীতে প্রবেশের সময় এটা একটি ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের প্রতীক ছিল।
শাহরিয়ার নাইম নামে একজন তার ওয়ালে লিখছেন; লেখাটি হুবহুব তুলে ধরা হলো, ইউনিভার্সিটি স্কয়ায় যদি পায়রা সেতুর কাজের জন্য সরানোর দরকারই হয়, প্রশাসন তো অবশ্যই জানে এ ব্যাপারটা। তারা তো একটু বিমানবাহিনীর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারতো, অক্ষতভাবে কীভাবে এটা সরানো যায়। এইভাবে প্লেনটা সরানোর কী মানে???
আমার মনে হয় প্লেনটা ভেঙে ফেলাটা প্রতিটা পবিপ্রবিয়ানের অস্তিত্বে লেগেছে এবং যারা এইটা তৈরিতে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, তারাও বিষয়টি ভালভাবে নেননি হয়তো। এতে ইউনিভার্সিটির ভাবমূর্তি অবশ্যই ক্ষুন্ন হয়েছে ও প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
এছাড়াও অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, এভাবে না ভেঙে এটা সুন্দরভাবে সুরক্ষিত রেখে অপসারণ করে অন্যত্র সরানো যেতে পারতো। পরে কোথাও এটা বসানো যেত।
পবিপ্রবির ভাইস চ্যান্সেলর পবিপ্রবি (রুটিন দায়িত্ব) প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বাংলানিউজকে বলেন, পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষকে কোনো ভাবে অবহিত না করে, ইউনিভার্সিটি স্কয়ারের প্লেনটি তারা ভেঙে ফেলছে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি, সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ বিভাগের সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
এসআরএস