ফরিদপুর: ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বিলপুটিয়া ও জয়দেবপুর গ্রামের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে বিলপুটিয়া গ্রামের ওহিদুল মোল্যার ছেলে সাগর মোল্যাকে কনে পক্ষের লোকজন দেখতে আসেন। বিষয়টি ওহিদ মোল্যা তার বড় ভাই ফারুক মোল্যার পরিবারকে না জানিয়ে পার্শ্ববর্তী জয়দেবপুরের মোল্যাদের জানান। এতে ফারুকের ছেলে লিটন আক্ষেপ করে ওয়াহিদুলের বড় ছেলের কাছে বিদেশে ফোন করেন। এর জেরে কয়েকদিন ধরে চাচাতো ভাই সাগরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে আসছিল।
এরই জেরে জয়দেপুর গ্রামের লোকজন বিলপুটিয়া গ্রামের লোকজনের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নারীসহ ১১ জন আহত হন।
আহতরা হলেন-উপজেলার বারাংকুলা গ্রামের কওছার মোল্যা (৭০), কওছার মোল্যার ছেলে হাফিজুর মোল্যা (২০), বিলপুটিয়া গ্রামের উপিচিত মোল্যার ছেলে তারিকুল মোল্যা (৩৫), স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুনছুর মোল্যার ছেলে সুফিয়ার মোল্যা (৩৫), আফজাল মুন্সির স্ত্রী নাজমা বেগম (৩৫), শাহিদুলের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৩৮) ও ওয়াহিদুল মোল্যার বড় ভাই ফারুক মোল্য (৫০)।
এছাড়া ওয়াহিদুল গ্রুপের জয়দেবপুর গ্রামের ছাইফুল মোল্যা (৫০), কামাল মোল্যা (২৫), পান্নু মোল্যা (৪০) ও হেলাল মোল্য (২৮)।
আহতদের আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কাওছার মোল্যা ও তার ছেলে হাফিজুর মোল্যার অবস্থা গুরুতর।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
আরএ