ঢাকা: সিলেটের আলোচিত তরুণী রিয়া রায়। নেট দুনিয়ায় পরিচিত ‘লেডি বাইকার‘ নামে।
স্মার্ট ও সুদর্শন হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অনেকে রিয়াকে ভালো চোখে দেখতেন। কিন্তু এসবের আড়ালে তার মূল উদ্দেশ্যে ছিল সিলেটে মাদকের নেটওয়ার্ক। সিলেটের রাস্তায় নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় মোটরসাইকেল চালাতেন রিয়া। এ ছাড়া বিমানবন্দর সড়কে দিন-রাত যেকোনো সময় যাতায়াত ছিল তার। যার কারণে উঠতি বয়সী তরুণ ছাড়াও অনেকের নজর কাড়েন রিয়া। সেই রিয়া এখন পলাতক। তার কাঁধে মাদকের মামলা।
এক সপ্তাহ ধরে পুলিশ তাকে হন্যে হয়ে খুঁজলেও পাচ্ছে না। তবে রিয়ার প্রেমিক সামি মাদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। রিয়ার মাদক জগতের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তার কর্মকাণ্ড নিয়ে তোলপাড় চলছে। তাকে নিয়ে নানা জল্পনা হচ্ছে নগরীর কুমারপাড়ার ঝরনারপাড় এলাকায়ও।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে ও এজাহার অনুযায়ী, পুলিশের ধাওয়ায় প্রেমিক সামির সহযোগিতায় পালিয়ে যান লেডি বাইকার রিয়া। সামি নগরীর মিরাপাড়ার শামসুল ইসলামের ছেলে আর রিয়া কুমারপাড়ার ঝরনারপাড়ের রামু রায়ের মেয়ে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায়।
জানা গেছে, গত ৭ নভেম্বর রাতে প্রেমিক সামিকে নিয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট-সংলগ্ন এলাকায় যান রিয়া। নীল রঙের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো খ ১৪-০৫১২) নিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরছিলেন তারা। টহল পুলিশের সন্দেহ হলে গাড়িটি থামানোর সংকেত দেওয়া হয়। একটু দূরে গিয়ে থামে গাড়িটি। তখন গাড়ি থেকে এক তরুণী দ্রুত নেমে যান।
তাৎক্ষণিক সামিকে ধরতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর সামিই জানায়, পালিয়ে যাওয়া তরুণী তার প্রেমিকা রিয়া। তখন পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে পানির বোতলে রাখা ৫০০ মিলিগ্রাম মদ, ১০ পিস ইয়াবা ও দুই পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর এয়ারপোর্ট থানার এসআই গৌতম চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে রিয়া ও সামিকে আসামি করে মাদক মামলা করেন।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির বলেন, রিয়ার সহযোগী সামি কারাগারে থাকলেও তিনি পলাতক রয়েছেন। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থানে রিয়াকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
এনএসআর