ঢাকা: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিন বাবলীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কমিটিতে থাকবেন—একজন জেলা জজ, সহযোগী অধ্যাপকের নিচে নয় মেডিসিন বিভাগের এমন একজন শিক্ষক এবং একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
ওই শিক্ষকের ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তান ইউজারসিফ মাহমুদ বর্ণভের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সহকারী অধ্যাপক সাঈদা নাসরিনের মৃত্যুর ঘটনায় কারো অবহেলা আছে কিনা তা ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে হবে।
রিটে শিশু বর্ণভের ‘লিটিগেশন ফ্রেন্ড’ হচ্ছেন তারা মামা গোলাম হাফিজ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক।
গত ১২ অক্টোবর সাঈদা নাসরিনের মৃত্যুকে ‘অবহেলা জনিত’ দাবি করে ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নিতে নির্দেশনার পাশাপাশি ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটের পর বর্ণভের বাবা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেছিলেন, গত ২০ জুন সাঈদা নাসরিন বাবলী (৩৫) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর গত ২১ জুন থেকে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৭ জুলাই তিনি মারা যান।
বাবলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বাবলী ৩২তম বিসিএসে এডুকেশন ক্যাডারেও প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জবি শিক্ষিকার মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
ইএস/এমজেএফ