গাইবান্ধা: গাইবান্ধার নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আরিফ মিয়াকে (৩৮) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৩ এর গাইবান্ধা ক্যাম্পের ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ।
তিনি বলেন, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা থেকে আরিফ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
আরিফ মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের মাগুরের কুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে। এর আগে শনিবার রাতে আরিফ মিয়া ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ছয়/সাতজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম।
দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আব্দুর রউফ লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হন। মোড়ক প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী আব্দুর রউফ লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি গোবিন্দপুর মাগুরের কুটি গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ। পথে বামুনিরপাড়ায় দুর্বৃত্তরা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে উত্তেজিত লোকজন অভিযুক্ত আরিফের বাড়িতে আগুন দেন। পরদিন শনিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে প্রধান সন্দেহভাজন আরিফ ও তার স্বজনদের বাড়িতে ফের আগুন দেন বিক্ষুব্ধরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
এসআই