ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের টাকা আত্মসাৎ, ৭ মামলার অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের টাকা আত্মসাৎ, ৭ মামলার অনুমোদন

ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ৩২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৭ মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (১৪ নভেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বোর্ডের সদস্যরা অসৎ উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে তার মালিকদের ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন ও সংশ্লিষ্ট ঋণের সুবিধাভোগীদের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ৩১৮ কোটি টাকা নিয়ে আত্নসাৎ করেন। পরবর্তীতে, বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে সেই টাকা বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে স্থানান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ কারণে তাদের নামে পৃথক ৭টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

মামলার আসামিরা হলেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, সাবেক এমডি মো. রাশেদুল হক, ৯ বোর্ড সদস্য,  পি কে হালদারের আত্নীয়-সহযোগীসহ মোট ২৯ জন।

এদিকে রোববার দুদক কর্তৃক পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে-

১। জি অ্যান্ড জি এন্টারপ্রাইজ এর নামে ৩০ কোটি টাকার মামলা; বাদী- মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান, উপ-পরিচালক দুদক।

২। তামিম অ্যান্ড তালহা ব্রার্দাস লি. এর নামে ৩০ কোটি টাকার মামলা; বাদী- মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান, উপ-পরিচালক
৩। গ্রীণলাইন ডেভেলমেন্ট লি. এর নামে ৬০ কোটি টাকার মামলা; বাদী- মোছা. আফনান জান্নাত কেয়া, উপ-সহকারী পরিচালক।

৪। এমটিবি মেরিন লি. এর নামে- ৬০ কোটি টাকার মামলা; বাদী- মো. ফেরদৌস রহমান, উপ-সহকারী পরিচালক।

৫। পি অ্যান্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নামে ৫০ কোটি টাকার মামলা; বাদী- মো. ফেরদৌস রহমান, উপ-সহকারী পরিচালক।

অপরদিকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের নামে এ পর্যন্ত মোট মামলা হয়েছে ১৫টি, মোট টাকার পরিমাণ-১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, মোট আসামি ৩৭ জন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন আর বিদেশে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ৬৯ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।