পঞ্চগড়: পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার হাজিরা দিতে আসা শোয়েব সিনা (২৯) নামে এক আসামিকে আদালত চত্বরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদীপক্ষের চার জনকে আটক করছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের ভীমপুকুর এলাকার সিরাজুল ইসলাম (৫৫), তার মেয়ে সাদিয়া আকতার (২৪), বড় ভাই মো. নৈমুদ্দিন (৬০) ও নবিউল ইসলাম (৪০)।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবর রংপুর উপশহরের সাগাড়া এলাকার নাসিম উদ্দিনের ছেলে শোয়েব সিনার সঙ্গে ভীমপুকুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া আকতারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাদিয়া আকতার চলতি বছরের ২৪ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শোয়েব সিনাসহ সাত জনের নামে মামলা করেন। আদালত মামলাটি বোদা থানার পুলিশকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
পরে ৪ এপ্রিল বোদা থানার পুলিশ মামলটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে। পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা না পেয়ে ৩০ আগস্ট আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ১৭৩ ধারায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে মামলার বাদী পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দাখিল করলে আদালত শুধু শোয়েব সিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন। এরপর আসামি গত ১৪ অক্টোবর আদালত থেকে জামিন পান। ওই মামলায় রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদারের আদালতে হাজিরা দিতে আসেন শোয়েব।
আদালত থেকে তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বের হওয়ার সময় আগে থেকে বাইরে থাকা সাদিয়া আকতারসহ তার লোকজন শোয়েবকে মারধর শুরু করেন এবং সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় আদালত পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শোয়েব সিনাকে উদ্ধার করে এবং সাদিয়া আক্তারসহ চার জনকে আটক করে পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, আদালত চত্বরে মারামারির ঘটনায় আদালত পুলিশ চার জনকে আটক করে থানায় দিলে সিআরপিসি ১৫১ ধারায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫, নভেম্বর ১৪, ২০২১
জেডএ