ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জন্ম নিবন্ধনের আরেক নাম ভোগান্তি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
জন্ম নিবন্ধনের আরেক নাম ভোগান্তি

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলার ইউনিয়ন ও পৌরসভাগুলো থেকে জন্মনিবন্ধন সনদ তুলতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলে জানান সেবাগ্রহণকারীরা। উপজেলা পরিষদ থেকে এবং অনলাইনে আবেদন করার কারণে এসব জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।

ভুক্তভোগীরা জানান, জেলার ৬টি উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভার সবগুলোতে একই সমস্যা। নতুন একটি জন্ম সনদ পেতে এক সপ্তাহ থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। জন্ম নিবন্ধন পাওয়ার পর অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ভুল রয়েছে। সেই ভুল সংশোধন করতে গেলে আরও সময় লেগে যায়। ফলে ওই এলাকার মানুষকে অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে ১৮ থেকে ২০ বছরের ভেতর যাদের বয়স। যারা এখনও ন্যাশনাল আইডি কার্ড পাননি। তাদের বিভিন্ন কাজের জন্য জন্ম নিবন্ধনের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

সরেজমিন গিয়ে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনও ব্যক্তির মৃত্যু সনদ তৈরি করতে গেলেও জন্ম সনদের প্রয়োজন হয়। জন্ম সনদ না থাকলে নতুন করে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এগুলো পেতে দিনের পর দিন এমন কী মাসের পর মাসও লেগে যায়।

এ ব্যাপারে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জানান, বর্তমানে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কারণে সমস্যা বেশি হচ্ছে। নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়াটা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে থাকলে জনগণের ভোগান্তি অনেক কম হতো। উপজেলার আওতায় থাকায় সময় ও ঝামেলা বেশি হচ্ছে। আশা করছি সামনে এ সমস্যা থাকবে না।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবেদা আফসারী বলেন, ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করার বিধান থাকলে মানুষ তা করে না। সময় মতো নিবন্ধন না করার কারণেই এ সমস্যা বাড়ছে। সময় মতো নিবন্ধন করা হলে এ সমস্যা অনেক কমে যাবে। জনসচেতনতার মধ্যে এ ভোগান্তি  কমানো সম্ভব। চেয়ারম্যান ও মেয়রদের সঙ্গে কথা বলে জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।