ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ভ্যানচালকের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
আগৈলঝাড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় ভ্যানচালকের মৃত্যু

বরিশাল: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হামলায় আহত এক ভ্যান চালকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের দাবি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনী সহিংসতার হামলায় মোকলেস মিয়া নামের ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই সঙ্গে ৩ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

ভ্যানচালক মোকলেস মিয়া ওই গ্রামের মৃত সফিজউদ্দিন মিয়ার ছেলে।

নিহতের ছেলে উজ্জল মিয়া জানান, ১১ নভেম্বর বাগধা ইউপি নির্বাচনে মেম্বর পদে বিজয়ী হন আপেল প্রতীকের প্রার্থী শামীম মিয়া। ১৩ নভেম্বর সকালে ভ্যানযোগে মেম্বর শামীম মিয়া খাজুরিয়া থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে সৌজন্য দেখা করার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পরপরই পরাজিত মেম্বর প্রার্থী ইউনুস মিয়ার (টিউবওয়েল) নেতৃত্বে ৩৫ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে ভ্যানে থাকা লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৮ জন আহত হয়।

তিনি জানান, এ সময় তার পিতা ভ্যানচালক মোকলেসকেও মারধর করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে চিকিৎসক ভ্যানচালকে মৃত ঘোষণা করেন।

মোকলেস মিয়ার মেয়ে সালমা বেগম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পরেও দুই পক্ষের সংঘর্ষে আমার বাবা বিনা কারণে মারধরের স্বীকার হয়ে মারা গেলেন।

এদিকে ঘাতকদের উপযুক্ত বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মোকলেস মিয়ার স্ত্রী খাদিজা বেগমসহ স্বজনরা।

আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম মামলার বরাত দিয়ে জানান, পরাজিত মেম্বর প্রার্থী ইউনুস মিয়ার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের তৃতীয় দিন খাজুরিয়া গ্রামের আপেল মার্কার প্রার্থী মো. শামীম মিয়ার সমর্থক ভ্যানচালক মোকলেস মিয়া (৬৫) ভ্যান নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা করে।

হামলার ঘটনায় শনিবার ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫জনকে আসামি করে মো. শামীম মিয়ার সমর্থক ইলিয়াস মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিল্টন মন্ডল অভিযান চালিয়ে গত শনিবার রাতে খাজুরিয়া গ্রামের জলিল ফকিরের ছেলে তানভীর ইসলাম রাসেল (২৪), আব্দুল আউয়ালের ছেলে এনামুল হাওলাদার (২৬) ও রোববার রাতে মৃত কহিল উদ্দিন মিয়ার ছেলে রফিক মিয়াকে (২৪) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মোকলেস মিয়ার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে পাঠায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এমএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।