ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে রেল দিবস পালন

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
ঈশ্বরদীতে রেল দিবস পালন ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে দিবস উদযাপন

পাবনা (ঈশ্বরদী): ১৫৯ বছর পর মুজিববর্ষে রেলওয়ের সেবা আরও জনমুখী করে তুলতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রেলওয়ে দিবস পালন করেছে। ১৫৮ বছর পর ২০২০ সালে প্রথম রেল দিবস পালন করা হয়।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টায় (ঈশ্বরদী-খুলনা) রেলরুটের ঈশ্বরদী জংশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।  

দিনের শুরুতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভাগীয় কর্মকর্তারা দর্শনা থেকে জগতী পর্যন্ত মোটরট্রলিতে যাত্রার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আব্দুর রহিম সভাপতিত্ব করেন। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অংশুমান রায় চৌধুরী অপুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিন, ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কুমার, রেলওয়ে গার্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ পাকশী শাখার সভাপতি ইকবাল হায়দার, রেলওয়ে শ্রমিকলীগ ঈশ্বরদী শাখার সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন প্রমুখ।  

আলোচনাসভা শেষে কেক কাটা হয়। এছাড়াও ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের রজনীগন্ধা ফুলের স্টিক দিয়ে শিশুদের মধ্যে চকলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শেষ হয়।

এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় ঈশ্বরদী-খুলনা রেলরুটের ঈশ্বরদী শহরের প্রাণকেন্দ্র রেলগেট ইন্টারলকিং রেলগেট এলাকা থেকে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে এসে শেষ হয়।  

জানা যায়, ১৮২৫ সালে ইংল্যান্ডে রেলওয়ে যাত্রা শুরু হয়। স্টিম ইঞ্জিন আবিষ্কারের পর ১৮৩২ সালে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম রেলপথ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়। পরে ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল মুম্বাইয়ের বোরি বান্ডার স্টেশন থেকে থানে স্টেশন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটার রেলপথে ৪০০ জন যাত্রীসহ ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাত্রার সূত্রপাত ঘটে।

১৮৫৪ সালের ১৫ আগস্ট হাওড়া থেকে হুগলি ৩৮ কিলোমিটার রেলপথ চালুর মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার রেলের শুভ সূচনা হয়।

তৎকালীন পূর্ববাংলা অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে রেলপথ চালু হতে আরও কিছুদিন দেরি হয়। ইস্টর্ন বেঙ্গল রেলওয়ে অ্যাক্ট ১৮৫৭ সালের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইস্টর্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানি গঠিত হয়। ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত রেলপথ চালু করে। ঠিক একই বছর ১৫ নভেম্বর দর্শনা থেকে জগতি পর্যন্ত ৫৩ দশমিক ১১ কিলোমিটার লাইন বর্ধিত করার মাধ্যমে পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ রেলপথের যাত্রা শুরু হয়।

মূলত বর্তমান বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ দর্শনা থেকে জগতি হলেও দর্শনা স্টেশনটি চালুর সময় ছিল না। জগতি স্টেশনটিই ছিল। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর চালু করা হয় প্রথম স্টেশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।