ঢাকা: হাফ ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে রাজধানীর ইম্পেরিয়াল কলেজছাত্র নাবিলকে ‘গলাধাক্কা’ দিয়েছিলেন রাইদা পরিবহন বাসের একজন চেকার। এ ঘটনায় সোমবার (১৫ নভেম্বর) রামপুরায় রাইদা পরিবহনের সব বাস আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা।
দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত শতাধিক বাস রামপুরা রুটে থামিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের দাবি মানতে রাজি হয় বাস কর্তৃপক্ষ।
এরই মধ্যে নাবিলকে ‘গলাধাক্কা’ দেওয়া বাসের চেকার মাসুদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, সব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষের এমন ঘোষণা পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় আটকে থাকা একাধিক বাসে শিক্ষার্থীরা লিখে দেয়, ‘হাফ পাশ (পাস) আছে’।
বিকেল ৫টার পর রামপুরা রুটে আবার চলতে থাকে রাইদা পরিবহনের বাস।
এর আগে ইম্পেরিয়াল কলেজের মানবিক শাখার ছাত্র জায়েদ হোসেন বলছিল, টিকা নিতে রাইদা বাসে করে মালিবাগ যাচ্ছিল তার সহপাঠী নাবিল। এ সময় ওই পরিবহনের চেকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি দাবি করেন। লাবিল এর প্রতিবাদ করলে রাইদা বাসের চেকার তাকে মারধর করেন।
জায়েদের ভাষ্যমতে, শিক্ষার্থী হিসেবে হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবি করেছিল নাবিল। কিন্তু সেই চেকার হাফ ভাড়া না নিয়ে উল্টো পুরো ভাড়ার জন্য নাবিলের গলাধাক্কা দেয়।
এর প্রতিবাদে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে জানায়, সব যাত্রীবাহী বাসে শিক্ষার্থীদের থেকে হাফ ভাড়া নিতে হবে এবং বাসের স্টাফদের ভালো আচরণ করতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত চেকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আন্দোলনের মুখে শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের সব দাবি রাইদা পরিবহন কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত চেকার মাসুদকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ছাত্রকে গলাধাক্কা, রাইদা বাস বন্ধ
ছাত্রদের দাবি মানল রাইদা, চেকার মাসুদ বরখাস্ত
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
জেএইচটি