ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌদি আরবের উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এই প্রশংসা করেন।
গভর্নর করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করে সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নতির বিষয়ে খবর রাখেন বলে জানান।
গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের বিষয়ে তার স্মৃতি তুলে ধরেন।
আগামী দিনে দু’দেশের সম্পর্ক জোরদারসহ ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। পাশপাশি বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ বিন সুলতান সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের মধ্যে খুবই হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে দু’দেশের সম্পর্ককে ‘আত্মিক’ বলে মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের পোশাক পণ্যের গুণগত মানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ইউরোপ, আমেরিকার বাজারে তিনি প্রায়ই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দেখে থাকেন।
রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান, উত্তর সীমান্ত অঞ্চল প্রদেশের বিভিন্ন শহরে অনেক বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে।
এ অঞ্চলে কর্মরত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করে গভর্নর বলেন, তাদের নিজের লোক বলে মনে করেন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা নিজেরর দায়িত্ব বলেও মনে করেন তিনি।
এ সময় রাষ্ট্রদূত গভর্নরকে জানান, সৌদি আরবের বাণিজ্যিক গোপনীয়তা বিরোধী আইনের আওতায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা নিজেদের ব্যবসা নিবন্ধনে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সৌদিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই তাদের ব্যবসা নিবন্ধন করার সুযোগ পাবে।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভর্নরকে বলেন, সৌদি আরবের সবুজায়ন উদ্যোগের আওতায় ১০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। সৌদি আরবের মরুভূমির জন্য উপযোগী ও সহনশীল বৃক্ষের চারা সরবরাহ করার বিষয়ে ও আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
উত্তর সীমান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সুন্দরবন, কক্সবাজার ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে পর্যটক বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া দু’দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিনিময়ের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি করোনা আক্রান্ত প্রবাসীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা ও করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ায় সৌদি সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। সম্প্রতি বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাসের ১৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূত সৌদি বাদশাহ ও যুবরাজের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশ সময় : ২০.২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
টিআর/এমএমজেড