ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কলম্বোতে জয়েন্ট কমিশনের সভা ফেব্রুয়ারিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
কলম্বোতে জয়েন্ট কমিশনের সভা ফেব্রুয়ারিতে

ঢাকা: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলোম্বোতে সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ওই সভায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক গামিনী লক্ষ্মণ পিয়ারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে সম্পর্কটা আরও দৃঢ় হয়েছে। আপনারা জানেন যে, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে করোনার ঝুঁকির মধ্যেও বাংলাদেশে এসেছেন। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাহিন্দ্রা রাজাপক্ষের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমাদের সম্পর্ক আছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসেছেন। তিনি অনেক অভিজ্ঞ লোক, সরকারের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নৌপরিবহন খাতকে কীভাবে আরো শক্তিশালী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সবশেষ আমাদের জয়েন্ট কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর আর কোনো সভা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী বছর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলোম্বোতে সচিব পর্যায়ের সভাটি হবে। আমাদের কিছু বিষয় পেন্ডিং আছে। যেহেতু ২০১৪ সালের পর আর সভা হয়নি তাই আমার মনে হয় আমাদের ঝুলে থাকা বিষয়গুলো সমাধান হবে।

শ্রীলঙ্কার সরকার পরিবর্তনের কারণে সভাগুলো এতদিন হয়নি বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশসহ অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিরাট উদাহরণ সৃষ্টি করেছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতি আমেরিকার অনেক স্টেটের থেকে এগিয়ে গেছে। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্বের। কারণ শ্রীলঙ্কার একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সম্পর্ক আরও বেশি গভীর হবে।

২০১৪ সালের পর কোন কোন বিষয় ঝুলে আছে এবং নৌরুটে বাণিজ্যের সুযোগ বা সম্ভাবনা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে এসওপি একটি বিষয়ে দুই পক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছেছে। পরবর্তী সভায় এ বিষয়গুরো সমাধান হয়ে যাবে। আজকের সভায় এ বিষয়টি উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ কীভাবে লাভবান হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গোপসাগর আমাদের একমাত্র পথ। কাজেই নৌখাতে যত বেশি জায়গা তৈরি করতে পারবো তত বেশি লাভবান হতে পারবো। আমরা তাদের জানিয়েছি মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দর করছি এবং সেখানে আমাদের মাদার ভেসেল আসবে। ২০২৫/২৬ সালের মধ্যে আমরা অপারেশন শুরু করে দেবো। এর বাইরে চট্টগ্রামে বন্দরের যে জোয়ার-ভাটার সমস্যা আছে, আমরা যদি ২০২৪/২৫ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল করে ফেলতে পারি তাহলে ২৪ ঘণ্টা বড় জাহাজ আসা যাওয়া করতে পারবে। যেহেতু এখানে ১২ মিটার চ্যানেল হচ্ছে। কাজেই আমরা যখন এই স্থাপনাগুলো করে ফেলবো তখন দেশের অর্থনীতির ভীত আরও শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬,২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।