ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আইন-শৃঙ্খলার সদস্য বাড়ালে ভোট সহিংসতা কমবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
আইন-শৃঙ্খলার সদস্য বাড়ালে ভোট সহিংসতা কমবে কথা বলছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিধি আরও বাড়াতে পারলে সহিংসতা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে শ্রীলংকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক গামিনী লক্ষ্মণ পিয়ারিস সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।



ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপের থেকে দ্বিতীয় ধাপে সহিংসতা ও মৃত্যু বেশি হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি ধাপ আছে। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দলীয়ভাবে কি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের সহিংসতার কথা বললে অতীতে যেতে হবে। অতীতে ৫শ/৬শ লোকেরও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আপনারা জানেন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন এটা বেশি দিনের না। দ্বিতীয়বারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছি। গত বছর যেসব সমস্যা ছিল এবার সেসব সমস্যা অনেকটা সমাধানের পথে এগিয়ে গেছে। আগামী বছর নির্বাচনে যখন এ বিষয়টা মাইন্ডসেট হয়ে যাবে। এখনও আমাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে। তবে, দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে দায়বদ্ধতা থাকে। সেটা যে দলের প্রতীক হোক না কেন। কিন্তু স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হলে তার দায়বদ্ধতা থাকে না। স্থানীয় সরকারগুলো যেভাবে শক্তিশালী ও কর্মমুখর হচ্ছে সেখানে প্রশাসনিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।

সহিংসতা কমিয়ে আনার কি পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সহিংসতার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখে। আপনারা জানেন একটা ওয়ার্ডে অসংখ্য সদস্য প্রার্থী থাকেন। তাই নির্বাচনী প্রচারণাটাও অনেক বেশি হয়। ভোট কাস্টিং প্রায় ৯৫ শতাংশ হয়ে যায়। কারণ সর্বশেষ ভোটার কোথায় আছে সেটাও খুঁজে বের করা হয়। কাজেই অনেকগুলো বিষয় এখানে কাজ করে। এত বেশি প্রচারণার মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। কিছু কিছু ঘটনা তো সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার থাকছে তারা দেখছে। আমার মনে হয় যেহেতু আমাদের নির্বাচন ধাপে ধাপে হচ্ছে, একসঙ্গে হচ্ছে না। কাজেই আমাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার যে সদস্য আছে তাদের পরিধি আরও বাড়াতে পারলে আমার মনে হয় সহিংসতা কমে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।