সম্প্রতি তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের এক সহজ স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তৈরি করেছে। প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার পিতা-মাতার পরে যাদের একজন আমাকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে, তাঁর নাম হযরত আলী।
প্রতিমন্ত্রীর এমন সহজ স্বীকারোক্তিতে মুগ্ধ হয়েছেন সবাই।
মুরাদ হাসান জামালপুর শহরের কিশলয় আদর্শ বিদ্যা নিকেতনে প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে তিনি জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি, ১৯৯৩ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ২০০০ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
২০০৪-২০০৫ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ‘প্লাস্টিক অ্যান্ড রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারি’র ওপর পোস্ট গ্রাজুয়েশন ট্রেইনিং (পিজিটি) সম্পন্ন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ২০১১ সালে রেডিয়েশন অনকোলজির ওপর এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনকোলজি বিভাগে কনসালট্যান্ট হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন।
মুরাদ হাসান সম্প্রতি ’৭২-এর সংবিধানে ফেরত যাওয়া নিয়ে কথা বলে আলোচিত হন। মেয়র সাঈদ খোকনও মুরাদ হাসানের সমালোচনা করেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোলও পড়ে যায়।
মুরাদ হাসান বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
২০১৮ সালের মন্ত্রী সভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। তারপর ১৯ মে ২০১৯ তারিখ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
এমজেএফ