ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ 

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ 

পাবনা (ঈশ্বরদী): পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঈশ্বরদী-পার্বতীপুর রেল লাইনের নাটোরের লালপুরের ‘ঈশ্বরদী বাইপাস’ স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়া মিল্টন হোসেন রোমেল (৩৬) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

মিল্টন পাবনা সদর উপজেলার চক ছাতিয়ানী গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি পাবনা জনতা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ছিলেন। তার স্ত্রী একজন প্রকৌশলী বলে জানা গেছে।   

নিহতের বড় ভাই রমজান আলী জানান, সোমবার (১৫ নভেম্বর) বাড়ি থেকে দুপুরের দিকে বের হন মিল্টন। রাতে আর বাসায় ফেরেনি। তাকে ফোন করা হলেও কল রিসিভ হয়নি। পরিচিত স্বজন-বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মিল্টনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের মৃত্যু ট্রেন দুর্ঘটনা হয়নি। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ২০১৭ সালে ১৭ ফেব্রুয়ারি পাবনায় সংঘবদ্ধ একটি প্রভাবশালী চক্র হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছিল। পূর্বপরিকল্পিত হত্যা সংঘটিত করার পর কেউ রেল লাইনের পাশে মরদেহ ফেলে রেখে গেছে বলে ধারণা তার।  

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোপাল কুমার বাংলানিউজকে জানান, নিহত মিল্টনের পকেটে ঢাকা-লালমনিহাট পর্যন্ত ১৫ নভেম্বরের একটি স্ট্যান্ডিং টিকিট মিলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য সুরতাহাল শেষে দুপুরের দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মর্গের প্রতিবেদন দেখে প্রয়োজনীয় আইনাগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বজনরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।