ঢাকা: বিশ্বায়নের নতুন যুগে বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে বিশ্বব্যাপী সংসদগুলোকে সংসদীয় অংশীদারিত্ব জোরদার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রোববার (১৬ নভেম্বর) কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘একাদশ এশিয়া-ইউরোপ পার্টনারশিপ পার্লামেন্টারি মিটিং (আসেপ-১১)’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও টেকসই উন্নয়নমূলক বিশ্ব নিশ্চিত করা যাবে। সব দেশের মধ্যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক এবং সংযোগ গড়ে তুলতে হবে। সংলাপ ও মতবিনিময়ের জন্য সংসদ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র আরও সুসংহত এবং জনগণ কেন্দ্রিক শাসন নিশ্চিত হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্ব সীমান্ত ছাড়িয়ে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কর্মসংস্থান, জীবিকা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুতেই এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কোভিড পরবর্তী সংকটের মধ্যেও সবার জন্য সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে ও সবুজ বিশ্ব নিশ্চিতকরণে সংসদীয় অংশীদারিত্ব জরুরি। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে এককভাবে কোনো দেশের উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়। সংলাপ, পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সংসদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দারিদ্র্য, সম্পদের অসমতা, লিঙ্গভিত্তিক অসমতা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ কোনো দেশ এককভাবে মোকাবিলা করতে পারবে না। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, কার্বন নিঃসরণ, মরুকরণ, জলবায়ু উদ্বাস্তু, মাইগ্রেশন খাদ্যনিরাপত্তা, ব্লু ইকোনমি, সুপেয় পানির নিরাপত্তা ইত্যাদি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদ সদস্যদের সম্মিলিতভাবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ড, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, চীনসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এসকে/আরআইএস