ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দৌলতদিয়ায় এনজিও কর্মকর্তা সাতদিন ধরে নিখোঁজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
দৌলতদিয়ায় এনজিও কর্মকর্তা সাতদিন ধরে নিখোঁজ লিলি বেগম

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) সহ সভাপতি লিলি বেগম (৩৮) সাতদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

এর পর থেকে এনজিওর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিখোঁজের স্বজনরা নানান শঙ্কার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

লিলি বেগম নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় তার ভাগ্নে শফি ইসলাম গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। দেশের সর্ব বৃহৎ যৌনপল্লীবাসী ও সেখানে কর্মরত অনান্য বেসরকারি এনজিও সংস্থাগুলি গভীর উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে।

তাকে উদ্ধারের জন্য মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ থেকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।  

মুক্তি মহিলা সমিতির কর্মকর্তা আতাউর রহমান খান মঞ্জু জানান, তাদের সংগঠনটি ১৯৯৯ সাল থেকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লী ও এর আশপাশের এলাকার নারী এবং মেয়ে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করে আসছে। নিখোঁজ লিলি বেগম সংগঠনের কার্যকরী কমিটির সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ পরিস্থিতিতে গত ১০ নভেম্বর দুপুরে পার্শ্ববর্তী আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় তিনি। এ ঘটনায় তার পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছেন।

নিখোঁজ লিলি বেগমের ভাগ্নে শফি ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পূর্ব আমখাওয়া গ্রামে। তার খালা লিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। স্থানীয় আ. লতিফ নামে এক ব্যক্তিকে তার খালা বিয়ে করেন। তবে সে বিয়ে আ. লতিফের পরিবার মেনে নেয়নি। দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর মধ্যে তার খালার একটি বাড়ি আছে।  

তিনি আরও জানান, খালা লিলি বেগমের সঙ্গে তার ফোনে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হতো। গত ১০ নভেম্বর তার খালার নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোনটি বন্ধ পান। এর একদিন পর তিনি তার খালার খোঁজ করতে দৌলতদিয়ায় আসেন। এসময় বাড়ির ভাড়াটিয়ারা জানান, তার খালা আগের দিন আ. লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন।

এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, নিখোঁজ লিলি বেগমের সন্ধানে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করাসহ বিভিন্ন টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যাদের নাম আসছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া বিভিন্ন থানায় ইতোমধ্যে নিখোঁজ নারীর ছবিসহ বার্তা পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।