ঢাকা: আইএফআইসি ব্যাংকের বাড্ডা উপ-শাখার দেয়াল ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হৃদয় হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর দুই আসামি মো. মামুন ও রুবেল সিকদারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক আনাছ উদ্দিন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে হৃদয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। এছাড়া অপর দুই আসামি মামুন ও রুবেলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম আসামি হৃদয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী অপর দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে বাড্ডা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রনপ কুমার ভক্ত এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর এ তিন আসামিকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর রাত একটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাড্ডা থানাধীন লিংক রোডের ডে-নাইট সিরাজ টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড উপ-শাখার আয়রন সেফ রুমের উত্তর পাশের দেয়াল গোল করে ভেঙে ফেলে আসামিরা।
এরপর মামুন এবং রুবেলের সহযোগিতায় হৃদয় ভিতরে ঢুকে আয়রন সেফ ভাঙতে চেষ্টা করে। আয়রন সেফে রক্ষিত টাকা চুরি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তারা। এ সময় মামুন ও রুবেল ব্যাংকের বাইরে অবস্থান করে লোকজনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে থাকে।
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান নামে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় একটি মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
কেআই/এমএমজেড