ঢাকা: প্রগতি স্মরণিতে বাস থেকে ফেলে মরিয়ম আক্তার নামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় রাইদা পরিবহনের বাসচালক রাজু মিয়া ও তার সহকারী ইমরান হোসেন আদালত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামি রাজু মিয়ার এবং অপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী আসামি ইমরান হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এর আগে ১৪ নভেম্বর এ দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক হাসান পারভেজ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুজন বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সিএমএম আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রনপ কুমার ভক্ত এ তথ্য জানান।
জানা যায়, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মরিয়ম আক্তার ফুল বিক্রি করত এবং হাতে আবেদনসংবলিত কাগজ নিয়ে পথচারী ও বাসযাত্রীদের কাছে আর্থিক সাহায্য চাইত। খিলক্ষেত থানার কুড়াতলী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সে।
৯ নভেম্বর ভোরে বাসা থেকে বের হয় মরিয়ম। এরপর প্রগতি স্মরণিতে ফুটপাতে ময়লার স্তুপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন মরিয়মের বাবা প্রাইভেটকারচালক রনি মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
কেআই/জেএইচটি