ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বির্তকিত চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়া ২০১৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারীর প্রথম দিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে হতদরিদ্রদের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। সেই সময় তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের তালিকায় অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। পরে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করলে বহিস্কারাদেশ স্থগিত করা হয়। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কাকারীর মামলা রয়েছে। তার মাদক সেবনের ছবিও ভাইরাল হয়। জামাল উদ্দিন ভূইয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়নের ৮জন মেম্বার স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসকের বরাবর।
এছাড়া ২০১৮ সালে প্রকাশিত মাদকের তালিকায় জামাল উদ্দিন ভূইয়াকে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলমান আছে আদালতে।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য হানিফ মিয়া বাংলানিউজিকে জানান, 'আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর জামাল চেয়ারম্যানের সকল অপকর্ম প্রমাণ সহ দাখিল করেছি। তার মাদক সেবনের ছবিও দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইউনিয়নবাসীকে তার অপকর্ম থেকে পরিত্রাণ দিতে উদ্যোগ নিবেন। ’
অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন ভূইয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে করোনার মহামারীতে অভিযোগ উঠলে মন্ত্রণালয় বহিষ্কার করে। আমি উচ্চ আদালতে রিট করি। এখনও আমি স্বপদে বহাল আছি। আমার ছবি এডিট করে ফেসবুকে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় মামলা চলমান আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
আরইউ