ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের আট বছর অতিবাহিত হলেও বিচার কাজ শেষ হয়নি।
এতে হতাশায় ভুগছে তার পরিবার।
মামলার বাদী নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সাল ২৫ নভেম্বর বেলা তিনটার দিকে শিক্ষক কামরুল ইসলাম সাইকেলযোগে বোয়ালমারী বাজারে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চতুল চিতাঘাটা নামক এলাকায় পৌঁছালে একদল দুর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা চালায়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে প্রায় ১৫ জন হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর জখম করে।
পরে তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে অবস্থার অবনতি ঘটায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এরপর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে নেওয়ার পথে রাতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন ২৬ নভেম্বর বোয়ালমারী থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও পাঁচ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়। এরপর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারকাজ শেষ হয়নি। আসামিরা জামিন নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
নিহতের মা লাইলি বেগম বাংলানিউজকে জানান, ছেলে হারানোর কষ্ট সইতে না পেরে এক বছরের মধ্যে মারা গেছেন বাবা হাজী আবুল হাসেম মাস্টার। মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান মা। তিনি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
নিহতের বোন তাসলিমা আক্তার এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করাসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আসামিরা প্রভাবশালী। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনায় ভুগছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
এনএইচআর