ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অযত্ন-অবহেলায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্ট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
অযত্ন-অবহেলায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্ট অযত্ন-অবহেলায় বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্ট। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: অযত্ন আর অবহেলায় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে রাজধানীর গুলিস্তানে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্ট। যেন দীর্ঘকাল এই মন্যুমেন্টের দিকে নজর দেননি নগরের কেউই, বরং শুধুই আবর্জনা ফেলার কাজে ব্যবহার করেছেন তাকে।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের পাশে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্টের আশপাশ ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

সরেজমিনে দেখা যায়, মন্যুমেন্টের বাইরে চারপাশে যেমন হকাররা ভিড় করে বসে আছেন, তেমনি ভেতরের দিকটা ভর্তি হয়ে আছে নোংরা আবর্জনায়। রেলিংয়ের ভেতর অসংখ্য ময়লা খালি প্যাকেট এবং অন্যান্য বর্জ্য যেন স্তুপ হয়ে রয়েছে। অথচ সেগুলো পরিষ্কার করার কোনো বালাই নেই।

এছাড়া সরেজমিনে মন্যুমেন্টের পাশেই বিভিন্ন বাচ্চাদের নেশা করতে এবং মূত্রত্যাগ করতেও দেখা গেছে বেশ কিছু মানুষকে। কয়েকজন মিলে আবার মন্যুমেন্টের জায়গায় গড়ে তুলেছেন নিজেদের অস্থায়ী নিবাস। পচা আবর্জনার দুর্গন্ধে গা গুলিয়ে যায় মন্যুমেন্টের পাশে গেলে। এছাড়া দীর্ঘদিন এই মন্যুমেন্টের সংস্কার বা পরিষ্কার না করার ফলে আদতেই হারিয়ে গেছে মন্যুমেন্টের আসল বর্ণ, রং। ধুলোয় ঢাকা পড়ে এখন এটি শুধুই ধূসর একটি ইটের স্তুপ।

এছাড়া এই মন্যুমেন্টকে কেন্দ্র করে রাস্তার ওপরেই হকাররা দোকান গেড়ে বসেন। ফলে একদিকে যেমন জ্যামের সৃষ্টি হয় তেমনি ময়লা আবর্জনাগুলো গিয়ে পড়ে মন্যুমেন্টের ভেতরে। বর্তমান সরকার যেখানে সারাদেশে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে, সেখানে এই মন্যুমেন্ট যেন ঠিক তার বিপরীত চিত্র প্রকাশ করে।

স্থানীয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় হকাররা এবং ফল ব্যবসায়ীরা তাদের ফলের কার্টন ও অন্যান্য কাগজপত্রগুলো এই মন্যুমেন্টের ভেতরেই ফেলে রাখেন। এছাড়া সিটি করপোরেশনের কর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করলেও মন্যুমেন্টের ভেতরে পরিষ্কার করেন না। ফলে মন্যুমেন্টের এই হাল। অথচ এটি রাজধানী ঢাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

এর আগে ২০০০ সালের ৪ মার্চ এই বঙ্গবন্ধু স্কয়ার মন্যুমেন্টটির ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে বর্তমানে মুছে গেছে প্রায় সেই ফলকের লেখাগুলোও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।