ঢাকা: সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গ্রেফতার হওয়াদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদ। একইসঙ্গে অন্য সময়ের মতো গ্রেফতাররা যেন আইন থেকে বেরিয়ে যেতে না পারে, সরকারকে তা নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সম্প্রদায়িক হামলায় জড়িতরা তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার হয়। কিন্তু পরে আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। এখন (সাম্প্রতিক ঘটনায়) যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা যেন দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি পায়। আইনের ফাঁক দিয়ে তারা যাতে বেরিয়ে যেতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। গ্রেফতারদের এমন শাস্তি দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কেউ আর এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়।
তিনি বলেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা ও পূজা পরবর্তী দিনগুলোতে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর এবং বাড়িঘর- ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যে অমানবিক হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ঘটানো হলো-এর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশের ভাষা নেই। আমাদের সংগঠনের কয়েকজন সিনিয়র সদস্য হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনকালে আমাদের সদস্যদের উপলব্ধি ও দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত সংবাদ ও চিত্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেদনের শুরুতেই আমরা আমাদের সংগঠন, ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতকারীদের হামলায় হতাহত-ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারের প্রতি আমাদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুনঃনির্মাণ ও মেরামতের কাজ শুরু করেছে। এজন্য সরকারের তাৎক্ষণিক উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে আমরা সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে কয়েকটি মসজিদ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণেরও নিন্দা জানাই এবং ভারত সরকারকেও অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি এবং ক্ষতিগ্রহস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক আহমেদ তফছির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
এইচএমএস/জেএইচটি