দিনাজপুর: ইউনিয়নবাসীর ভালোবাসা আর ভোটে হয়েছেন তিন তিনবার পরিষদের চেয়ারম্যান। ইচ্ছে ছিলো আগামী চতুর্থ ধাপে নির্বাচনে অংশ নিয়ে পুনরায় ইউনিয়নবাসীর সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১১নম্বর মরিচা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান দেবেশ চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। তিনি ১৯৮৭, ১৯৯১ ও ২০০২ সালে মরিচা ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। বীরগঞ্জ উপজেলার ১১নম্বর মরিচা ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা হলেও ভোটার তালিকায় তার নাম রয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭নম্বর ইউনিয়ন এলাকায়।
তিনি বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহাদেবপুর গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে। একইসাথে বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়, আগামী ২৩ ডিসেম্বরের চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচন করার জন্য গত ১৬ নভেম্বর বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যান তিনি। সেখানে গিয়ে ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করেন দেবেশ চন্দ্র রায়। এ সময় তিনি লক্ষ্য করেন ওই তালিকায় তার নাম নেই। তিনি বিষয়টি নির্বাচন কার্যালয়ে জানালে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করে দেখেন, তার নাম বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পরিবর্তে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭ নম্বর শিবনগর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে দেবেশ চন্দ্র রায় বলেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে আমাকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দিতেই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে প্রতিপক্ষরা। তাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। আমি বীরগঞ্জ উপজেলার ১১ নম্বর মরিচা ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করে আমি তিন বার চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হয়েছি।
দিনাজপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক জানান, ইতিমধ্যেই আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। তার ভুল সংশোধন করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পাঠানো হয়েছে। দু’একদিনের মধ্যেই এটি সংশোধন হবে। তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোন বাধা থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এনএইচআর