ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ নিশ্চিন্তে ধর্ম পালন করছে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
‘প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ নিশ্চিন্তে ধর্ম পালন করছে’ দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে রাস উৎসবের উদ্বোধন। ছবি: বাংলানিউজ

দিনাজপুর: দিনাজপুর কাহারোল উপজেলার ঐতিহাসিক শ্রীশ্রী কান্তজীর মন্দিরে রাস উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাস উৎসবের উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ট্রাষ্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ডি সি রায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান প্রমুখ।

২৬৯ বছর ধরে চলে আসা ঐতিহাসিক রাস উৎসবকে ঘিরে হিন্দু ধর্মের মানুষের ভিড়ে মুখোরিত হয়েছে কান্তজীর মন্দির এলাকা। এদিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে দেশসহ পৃথিবী থেকে করোনা মহামারি দুর, দেশের মানুষের সুখ-শান্তি এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য প্রার্থনা করবেন। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাস তিথিতে ঘুরানো হবে।

যানা যায়, ১৭৫২ সালে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকেই দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে এই রাস উৎসব ও রাস মেলা হয়ে আসছে। সেই সময় থেকেই কান্তজীর বিগ্রহ ৯ মাস কান্তনগর মন্দিরে এবং ৩ মাস দিনাজপুরের শহরের রাজবাড়ীতে অবস্থান করেন। জন্মাষ্ঠমীর দু’দিন আগে কান্তজীর বিগ্রহ ধর্মীয় উৎসব-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে নিয়ে আসা হয়। এই তিন মাসে রাজবাড়ীতে প্রতিদিন প্রভাতী নামকীর্ত্তণ ও প্রতি বাংলা মাসের প্রথম শনিবার ভোগের ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভক্ত প্রতিদিন ভোগের ব্যবস্থা করে থাকেন। রাজ পরিবারের রীতি অনুযায়ী কান্তজীর বিগ্রহ রাজবাড়ীতে ৩ মাস অবস্থানের পর রাস পূর্ণিমার দুই দিন আগে বিগ্রহ পায়ে হেঁটে কান্তনগর মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই প্রথা অনুযায়ী যুগযুগ ধরে এই নিয়ম চলে আসছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি গোপাল বলেন, যারা ধর্মনিরপেক্ষ চেতনায় বিশ্বাস করে না তারা বাংলাদেশের চেতনাকে বিশ্বাস করতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ নিশ্চিন্তে ধর্ম পালন করছে। রাস শান্তি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে যারা আঘাত করতে চায়, তাদেরকে সকল ধর্মের ধর্মপ্রাণ মানুষ সম্মিলিতভাবে সমুচিত জবাব দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। বিনষ্টকারীরা যত শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, মানবসেবাই প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী। যারা এ শিক্ষাকে উপেক্ষা করে তারা ধর্ম মানেন না। সৃষ্টি স্রষ্টার মহামিলনের তাৎপর্য রাসলীলা। সৃষ্টিকে ভালোবাসলেই স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা যায় এই শিক্ষাই রাসলীলা মানুষকে পৌঁছে দিতে চেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।