ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাগড়াছড়ির কৃষি জমিতে ইটভাটা, শঙ্কিত স্থানীয়রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
খাগড়াছড়ির কৃষি জমিতে ইটভাটা, শঙ্কিত স্থানীয়রা খাগড়াছড়ির কৃষি জমিতে ইটভাটা। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িতে কৃষি জমির ওপর নতুন করে ইট ভাটা তৈরির কাজ চলছে। জেলা সদরের কমলছড়িতে লোকালয়ের মধ্যে এমন কাজে স্থানীয়রা উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

পাহাড়ে ইটভাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ব্রিক ফিল্ডের অনুমোদন নেই একটিরও। অথচ ৩০টির বেশি ইট ভাটা চলছে বছরের পর বছর ধরে। এদিকে খাগড়াছড়ি সদরের কমলছড়িতে বসতবাড়ির কাছাকাছি এভাবে টিনের ঘেরাও দিয়ে কৃষি জমিতে নতুনভাবে ইট ভাটা নির্মাণের কাজ চলছে। প্রচলিত আইনে জনবসতি, বনজঙ্গল ও পাহাড়ের কাছে ইটভাটা নির্মাণে কড়া বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করেই এই ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাই পরিবেশ সংকটাপন্নের শঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা মনি ময় চাকমা বলেন, আমরা অনেকবার তাদের বারণ করেছি। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। পাশে একটা পুরাতন ইটভাটা আছে। এটার কারণে রাস্তাঘাটে ধুলোবালিতে খারাপ অবস্থা। আশপাশের গাছগুলোতে ফলনও হয়না। তার উপর নতুন করে আরেকটি ইটভাটা হচ্ছে। যা গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করবে।

কমলছড়ির পাইলট পাড়ার পাড়াকেন্ত পূর্ণ শোভা চাকমা বলেন, গাছে আগের মতো ফলন না। ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিতে শুধু ধুলাবালি। গ্রামীণ রাস্তাঘাটও ইটভাটার কারণে ক্ষতি হচ্ছে।

ইট তৈরিতে পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি ও বনাঞ্চলের কাঠ পুড়িয়ে চলছে সবগুলো ইট ভাটা। লোকালয়ের কাছাকাছি পরিবেশের জন্য হুমকি এসব ভাটা বন্ধে হস্তক্ষেপ চান পরিবেশকর্মী ও স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল দাশ জানান, প্রতিনিয়ত পাহাড়ের বনজ সম্পদ ধ্বংস করা হচ্ছে। বহু বছর ধরে ইটভাটাগুলোতে বহু টন গাছ পোড়ানো হচ্ছে। তার ওপর বসতিপূর্ণ এলাকায় আরও একটা নতুন ইটভাটা নির্মাণ হচ্ছে। আমরা আশা করবো প্রশাসন নতুন করে কোনো ইটভাটা চালু করতে দেবে না এবং পুরাতনগুলো বন্ধের ব্যবস্থা করবে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন কার্যকর হওয়ার পর সনাতন পদ্ধতির ভাটাগুলো বিলুপ্তির কথা থাকলেও খাগড়াছড়িতে তা মানা হচ্ছে না।

নতুন করে ভাটা স্থাপনে জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে দাবি করে নির্মাণাধীন ভাটার মালিক মো. হারুন জানান, তিনি ‘ঝিকঝাক’ পদ্ধতির ইটভাটা করবেন। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদনও করেছেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নতুন করে কোনো ইটভাটা হতে দেওয়া হবে না। খোঁজ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২১
এডি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।