চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রী রিপা আক্তারের পা ভেঙে দিয়েছেন মাদকাসক্ত স্বামী বাবু মুন্সী।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) উপজেলার পদুয়া গ্রামের মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি গণমাধ্যম ও স্থানীয় লোকদের মধ্যে জানাজানি হয়।
রিপার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে মতলব দক্ষিণ উপজেলার পদুয়া মুন্সী বাড়ির তাজুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে বাবু মুন্সী জোড় করে একই বাড়ির আব্দুল মালেক মুন্সীর মেয়ে রিপাকে বিয়ে করেন। সেসময় বিভিন্ন কলা কৌশলে বিয়ের কাবিন নামা করাননি বাবু। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে নানা অজুহাতে স্ত্রীর মাধ্যমে শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করে আসছিলেন তিনি।
স্বামী ও সংসারের সুখের কথা ভেবে বিয়ের পর থেকেই বহুবার অসহায় রিপা তার বাবার কাছ থেকে চাহিদামত যথাসাধ্য টাকা নিয়ে স্বামীকে দিয়েছে। কখনো টাকা এনে দিতে দেরি কিংবা না দিলে তার ওপর চলত শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন।
রিপা আক্তার তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বামীর নির্যাতনের পরেও ঘর সংসার করতে থাকে। এমতাবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর আবারও যৌতুকের টাকার দাবিতে রিপাকে গালিগালাজ ও মানুষিক চাপ দিতে থাকেন বাবু। একপর্যায়ে বাবু রিপাতে বিবস্ত্র করে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে একপর্যায়ে রিপার বাম পায়ের হাড় ভেঙে যায়। স্থানীয় হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা হয়েছে।
নির্যাতিতা রিপা আক্তারের মা আক্তার বেগম বাংলানিউজকে বলেন, বাবু বিভিন্ন সময় নানাভাবে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। বর্তমানে ফের টাকার জন্য আমার মেয়ে রিপার ওপর অমানুষিক নির্যাতন শুরু করেছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা সাহায্য চাই।
কাবিননামা না করানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে নির্যাতিতা রিপার বাবা আব্দুল মালেক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি এবং বাবু ও তার পরিবারকে বলেছি বিয়ের কাবিননামা করানোর জন্য। কিন্তু বাবু ও তার পরিবার কাবিন করতে নারাজ। বাবুকে কাবিননামা না করার কারণ জানতে চাইলে সে মারধরসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি- ধমকি দেয়।
এ বিষয়ে বাবু মুন্সীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের লোকজনও কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
আরএ