কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শফী মিয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৫-২০ জন।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কৈলাগ ও রাহেলা গ্রামবাসীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শফী মিয়া উপজেলার কৈলাগ গ্রামের তারু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কৈলাগ গ্রামের আলমগীর মেম্বারের সঙ্গে রাহেলা গ্রামের সাবেক মেম্বারের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) শ্বশুরবাড়ি রাহেলা গ্রামে বেড়াতে যান কৈলাগ গ্রামের সাবেক মেম্বার আলমগীর। এসময় গ্রামের লালু ও শাহিন নামে দুই ব্যক্তি রাস্তায় তাকে ধরে কিল–ঘুষি মারেন। পরে আলমগীর তার নিজের গ্রামে বিষয়টি জানালে রাতেই তাদের গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বের হন। একপর্যায়ে দুই গ্রামের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর জেরে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে মাইকে ঘোষণা দিয়ে কৈলাগ ও রাহেলা গ্রামের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে শফী মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় শফী মিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফের যেন তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
আরএ