ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান

ঢাকা: অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপপ্রচারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে, জানতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যখন উন্নয়ন হচ্ছে, উন্নয়নের চাকা ঘুরছে। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। অযথা, অহেতুক দেশের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার করে, এমনকি আমরা উন্নয়নশীল দেশ কেন হলাম এটাও সঠিক না বলে অপপ্রচার! আমাদের দেশের কিছু মানুষ তারা অপপ্রচার করে। এটা হচ্ছে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, এটা তাহলে কারা? এদের উদ্দেশ্য কী? এরা কী চায়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির প্রত্যেকটি সদস্য তাদের এ বিষয়গুলোর বিষয়ে সচেতন হতে হবে, জানতে হবে, প্রতিবাদ করতে হবে। যা যা প্রয়োজন করতে হবে।

জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে মন্তব্য করে দলটির সভাপতি বলেন, সাধারণ মানুষ কিন্তু আমাদের সঙ্গে আছে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে আওয়ামী লীগের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা এবং ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের কাজগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং মসজিদ থেকে কোরআন শরীফ নিয়ে হনুমানের পায়ের ওপর রেখে হনুমানের গদাটা নিয়ে হেঁটে চলে গেল। একজন মুসলমান হয়ে এ কোরআন শরীফের অবমাননা কীভাবে করে?

তিনি বলেন, যে কোরআন শরীফটা নিয়ে মন্দিরে রেখেছে, হনুমানের পায়ের ওপর রেখেছে সেকি কম দোষী। সেই তো কোরআন শরীফের অবমাননা করেছে? সেটাই তো বড় কথা। আর সেটা নিয়ে একটা অবস্থা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। যাক সময়োচিত পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি এবং এ ব্যাপারে আমাদের নেতাকর্মীরা যথেষ্ট সক্রিয় ছিল।

‘এর পেছনে কারা? সেটাও কিন্তু তদন্ত করে বের হয়েছে, যেহেতু মামলা চলছে সেজন্য হয়তো সব বলবো না, আমরা কিন্তু সেই তথ্য জানি। ’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত আমরা ভালো কাজ করি, সেখানে একটা বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা সব সময় এদের আছে। এটা বিএনপি-জামায়াতই সব থেকে বেশি সক্রিয়। সঙ্গে আবার এখন নতুন কিছু (দল) গজাচ্ছে।

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কিছু দেখলাম তাদের মিটিং বসছে এখন কীভাবে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তো আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়ন করেছে? বাংলাদেশের মানুষ এখন দুই বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারে? এখন আর ক্ষুধার্ত-শুকনো মানুষগুলোকে দেখিয়ে দেখিয়ে বিদেশ থেকে পয়সা কামাই করতে পারছে না? এটাই তাদের দুঃখ?
 
বিএনপি আমলে নির্যাতনের শিকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময়ে বিএনপির হাতে যারা নির্যাতিত তাদের নিজেদের অন্য বক্তৃতা করার দরকার নেই, কী অত্যাচার করেছে সেটা মানুষকে জানানো উচিত। যাতে আমাদের যারা এ যে বুদ্ধি বিকিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের বুদ্ধির গোড়ায় অন্তত কিছুটা হলেও যেন জ্ঞান ঢোকে এবং বাস্তব অবস্থাটা যেন তারা জানতে পারে।

‘অত্যাচারে মানে এমন অবস্থা তারা সৃষ্টি করেছিল যে আওয়ামী লীগের নাম-নিশানা তারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ’

নিজে সব সময় খালেদা জিয়ার টার্গেটে ছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন যে খালেদা জিয়ার বক্তব্যই ছিল… সব সময় টার্গেট আমি, আমার বিষয়ে বলেছিল শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধীদলের নেতাও কোনো দিন হতে পারবে না। তারপরই কিন্তু বোমা পোতা হলো।

‘এর পরবর্তীতে তার বক্তব্য আওয়ামী লীগ শত বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরপরই কিন্তু গ্রেনেড হামলা। আমার মনে হয় এ কথাগুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। ’

বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এমইউএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।