ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রামেকে আরটিপিসিআর ল্যাবের কিটবক্স নয়ছয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
রামেকে আরটিপিসিআর ল্যাবের কিটবক্স নয়ছয়

রাজশাহী: রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আরটিপিসিআর (রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন) ল্যাবে কিটবক্স নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের এ ল্যাবে প্রায় ২ হাজার কিটবক্সের হিসেব মিলছে না।

এ ঘটনায় গোপনে অভিযোগ আসে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে।

এরপর সত্য উদঘাটনে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) সহযোগী অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. ফয়সাল আলমকে এ তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এরই মধ্যে ল্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলতে চাচ্ছেন না তদন্ত কমিটির কেউ।

কমিটির এক সদস্য বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর এবং তদন্তাধীন। তবে এরই মধ্যে এ ঘটনার মূল দুই অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকজনের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো বর্তমানে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেদন দাখিলের পরই এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। এর আগে বিষয়টি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই তদন্ত কর্মকর্তা।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন- অভিযোগ আসার পরপরই তদন্ত কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই তদন্ত কমিটি বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। তারা প্রতিবেদন দাখিল করার পর বোঝা যাবে সত্যিই কোনো অসঙ্গতি আছে কী নেই বা কোনো অনিয়ম হয়েছে কী হয়নি। এর আগে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন- হাসপাতাল পরিচালক।

এদিকে, করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত দুটি আরটিপিসিআর ল্যাবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অসঙ্গতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছিল। এবার সেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার কিটবক্সের কোন হদিস মিলছে না! চলতি মাসের শুরুতে ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপনে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে করোনা পরীক্ষার কিটবক্সের গড়মিলের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করেন।

এর পরেই গোপন অভিযোগটি আমলে নেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি গত ৯ নভেম্বর এ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এরপর হাসপাতালের করোনা ল্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সশরীরে হাজির হয়ে তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে কিটবক্স গায়েবের এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এসএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।